কবিতার কালিমাটি ১৪০ |
ভবিষ্যতের - জানলা
সকাল বা রাত।
অস্পষ্ট কলকাতায় হাঁটা।
পিছনে একটাও মুখ
দেখতে পাই না।
আশ্বিন চলে গেছে।
সারা সপ্তাহ জানলা।
সমুদ্রে বসে আছে।
পূর্ণিমা, আরাম কেদারা ও
ঘূর্ণিঝড় দেখবে বলে।
আজ টেবিলে বসে
চা পানে ব্যস্ত।
ছোটবেলায় ভবিষ্যতের
কিছুই দেখতে পায়নি।
কাচ শহর থেকে বেরিয়ে।
জানলা মহাজীবনে
নিজের মুখ দেখে।
মাঝামাঝি - জানলা
স্বপ্ন ঘুমাতে পারেনা।
মৃতের কাছে প্রার্থনার
কোন মূল্য নেই।
নিচু হয়ে কুর্নিশ
শিখছে আশ্চর্য।
এ ছাড়াও মহাজীবন।
ইদানিং আলো
অনেক বাড়তি হয়েছে।
জানলার প্রতি মূর্তিতে
হেঁটে যাওয়ার গল্প।--
সিগারেট টানতে টানতে এগোয়।
মাঝখানে চুপচাপ
দাঁড়িয়ে আছে জানলা।
অজানা - জানলা
আয়না কিরকম!
আজও জানতে পারলো না।
যখন আর বৃষ্টি
দেখা যায় না।
পাহাড়ের বরফ
দেখা যায় না।
জানলা মনে করে,--
সেটাই আলোর শ্রেষ্ঠ অনুবাদ।
স্যুপ ঢালতে ঢালতে।
ভেঙে পড়া পেয়ালার
কথা ভাবছে মুরশিদ।
ওয়াইপার দিয়ে
লাবণ্য পরিষ্কার করে।
হয়তো অনন্ত ও
পরিষ্কার করে।
জানলা জানে না।
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন