কবিতার কালিমাটি ১৩৭ |
মুছে গেছে
যেভাবেই মুছে যাক মুছে তো গেছেই জানালার পিঠে
তুলনায় ওজন তুলতে তুলতে ওজনে বাড়ে কমে দ্বিধা
তোমার সময়সীমা ক্রমাগত স্রোতের সাথে ওঠে নামে
যখন সময় হবে এই আশা নিয়ে গড়ায় দিন প্রতিদিন
গলগল গলে পড়ে মোমবাতির গলা-মোম উষ্ণপ্রবাহে
কথা কি দেওয়া ছিল অদূর ভবিষ্যতে আরও দূর হবে
প্রতীক্ষা - এতো কাছে থেকেও সূর্যাস্ত দেখতে ভুল
হয়
চির খায় প্রস্তাবনা গভীর ফাটলে ঢুকে পড়ে অন্ধকার
চোখে রোদ পড়লে মানুষ সরিয়ে নেয় দৃষ্টি অন্যদিকে
মুছেই গেছে আমাদের মানুষ হবার প্রয়াস পক্ষান্তরে
আমিও ডুবছি
এখন শহর জুড়ে সারাদিন গরম হাওয়া চলে চারদিক
আমি একটি প্রমাণ সাইজের দিঘি খুঁজি গভীর জলে
সঠিক ঠিকানা না জেনে কেউ উল্টোপথ দেখালে যাই
না পেয়ে ফিরে আসি কেউ বলে ডানহাতে চলে যান
চলতে চলতে হঠাৎ থমকে দাঁড়াই অনুপম টী-পয়েন্টে
থৈ থৈ জোরালো আলোয় ভাসতে থাকি দিকভ্রান্ত হয়ে
বসবাস সংক্রান্ত বিশ্বাসটি কোথায় দাঁড়াবে বলে দিক
সবুজ গাছগুলো গাঢ় কালচে-সবুজে এখন চেনা দায়
আজকাল মানুষের সাথে কত না মস্করা চালায় মানুষ
মগজে ঢুকে আছে গভীর জলের দিঘি আমিও ডুবছি
কতদূর কাহাতক
বাংলার অসম্ভব বাক্যবিন্যাস নিয়ে সন্ধ্যা নেমে
আসে
কতদূর শব্দ-কে আজ অনায়াসে কেন বলি কাহাতক
যতদূর যেতে পারি যাই সঙ্গে থাকে ভাববিন্যাস নিত্য
পকেটভর্তি গড়মিলগুলো ছড়িয়ে পড়ে ট্রাফিক জামে
রোদ আড়াল করে ছায়ার কানে বলি - আই লাভ্ ইউ
এমন সব বেলাল্লাপনা সুবোধ বালকের পাতে ওঠে না
গেরাম থেকে আসা বাল্যবন্ধুসহপাঠী মগজে কিশলয়
কি করে বোঝাই — সব পোড়া ছাই আকাশে ওড়ে না
প্রতিদিন মানুষের ধাক্কায় ধীরে ধীরে অমানুষ হয়ে
উঠি
ছোঁয়াচে রোগ যেন সন্ধ্যার আসরে বসে বিড়বিড় করি
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন