কবিতার কালিমাটি ১৩৭ |
রাতকথা ১
সারারাত কবিতা আমায় লেখে
চাঁদের অক্ষরে
স্বপ্নের কলমে আদরের পালকের ঘ্রাণ
রেখে দেয়। বর্ণে বর্ণে
জ্যোৎস্না দোল খায় মেহেফিলে রানীর মতোন
সেই সব শব্দগুচ্ছে কত যে অচেনা হাওয়া
ধ্বনির তরঙ্গ তোলে আশ্চর্য প্রাচীনে
খুঁজে খুঁজে চিনে নেয়
একদিন যে হাওয়ায় হারিয়ে
যাবার কথা ছিল, শিশিরের স্নানমাখা
মাতালিয়া মহুয়াপ্রহরে।
কবিতা আমায় লেখে সারারাত
জ্যোৎস্নায় কলম ডুবিয়ে, আর
সাতনরী গল্পগুলো নারী হয়ে ওঠে…
রাতকথা ২
রাতের শেষ ট্রেন স্টেশন ছাড়লে
প্যাটফর্ম অন্ধকারে খাতা খুলে বসে
খুলে যায় যত দ্বৈত অদ্বৈত
স্রোত নামে, গলির অনন্তে
কত গালিবশায়েরি।
অন্ধকারের ঝাঁপতোলা ঝাঁপিতে কত
মরমীয়া আলোর উদ্ভাস
দেওয়া নেওয়ার কত যে আলেখ্য
অলখ্যে কবিতা হয়ে শুয়েছিল
রেলের লাইনে…
একটু দূরের
মেঘলা ল্যাম্পপোস্ট দিস্তা খুলে দেখে
উপন্যাসের পান্ডুলিপির,
ফুঁপিয়ে ফুঁপিয়ে ওঠে লবণস্বাদের উপক্রমণিকা
ভোর ঢুকে পড়ে
শেষরাতে অন্ধকার ভেঙে
শিশিরের দানা থেকে মুক্তোগুলো টুপটাপ
ইচ্ছের ইছামতি
গেঁথে নেয় অগোছালো জীবনের
অসম্বৃত মণিহার
বিন্যস্ত করে ধ্বস্ত উপকথা সব
প্রত্যেক ঢেউয়ের ফনা লিখে রাখে
জীবনের যৌগ মৌল রসায়নের কাহিনী…
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন