শুক্রবার, ২ আগস্ট, ২০২৪

ধীমান চক্রবর্তী

 

কবিতার কালিমাটি ১৩৭

হারানো - জানলা

 

গুলি করার ভেজা ফেরিঘাট। আঙুলের দীর্ঘশ্বাস। ঠোঁট

তুলে। মনগড়া শীতের শুরুতে। দেখা হবার আগেই।

কোনো প্রতিধ্বনি গিলে খায়নি। মাথার ভিতরকার নদী।

হারানো থেকে তুলে। জানলা -- সম্ভাবনার সংগ্রহ রাখে

অনেকটা চাঁদে। রাখে

শেষ পর্যন্ত বেঁচে যাওয়া।

অলীক হাতটি।

 

হাসি - জানলা

 

চারটে হেলমেট। প্রত্যেকেই আলাদা। একেই কি বিশ্বাস

বলে? মুর্শিদ বলে!

পাখি - কথা আনমনা করে

দেয়। থেতলে যাওয়া আলো। নার্সের আদরে। ছোবলের যোগফল টের পায়।

জানলা। --হাসি খুলে রেখে।

ছাই ফেলে। জল সামান্য

কাছে হলে। চৌকো হলে।

বিভিন্ন অন্ধকারে। বোবাদের শহরে। গেয়ে ওঠে বৈতরণী।

 

মিসেস -  জানলা

 

চোখের দৃষ্টি কম হলে।

কেউ কেউ ঠিকঠাক

দূরত্ব বুঝতে পারে। টিভিতে

বরফ। হিসহিস শব্দ হচ্ছে। বিছানার পাশে রাখা ঘড়িতে। জানলা -- প্রচ্ছন্ন

বৃষ্টিতে আহ্লাদ দেখে।

একলব্যের আয়না দেখে।

মিসেস জানলা।

চিরকুট লিখে। বসে

আছে ভাঙা সেতুর পাশে। শেজবাতি জ্বালিয়ে। বৃষ্টি

 খুঁজছে  নিজের ভেতর।


কোন মন্তব্য নেই:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন