ধারাবাহিক উপন্যাস
হে নেপথ্যচারিণী
(১২)
বিঘ্ন
নির্জন লজ থেকে আমি আর আশুদা সরু পাথুরে পথ ধরে ঝর্নার শব্দর দিকে এগিয়ে যাচ্ছিলাম। অতিমারীর সময় আমরা জীবনের একটি মোক্ষম পাঠ অন্তস্থ করতে পেরেছিলাম। সেই পাঠের বিভাগের নাম 'অনিশ্চয়তা'। তিরদগড় ঝর্নার দিকে এই গভীর নিশুতি রাতে অত্রির খোঁজে আমাদের নিষ্ক্রমণের সময় আমার বারবার সেই 'অনিশ্চয়তা'র অনুভূতি ঘিরে ধরছিল। শুকনো শালপাতার মচমচ শব্দ ছাড়া আশপাশে শুধুই ঝর্নার শব্দ। আশুদা স্থিতপ্রজ্ঞ হয়ে এগিয়ে গেলেও আমার বারবার মনে হচ্ছিল কয়েকজোড়া চোখ যেন আমাদের অনুসরণ করছে। ধীরে ধীরে আমরা কাজুবাদামের ঝোপ আর চোরকাঁটা ছাড়িয়ে এগিয়ে গেলাম ঝর্নার ধারে রেলিঙএর কাছে। এই রেলিঙটা খানিকটা প্যাভিলিয়নের মতো। অনেকটা একবারে দেখা যায়। পাহাড়ের চুড়ো থেকে সিঁড়ির ধাপ বেয়ে চুঁইয়ে চুঁইয়ে নেমে আসছে তিরদগড়ের জল। পাহাড়ের কোল ছুঁয়ে নেমে যাচ্ছে নীচে। সেখানে শাল সেগুন মেহগিনির জঙ্গল। আশুদা ফিসফিস করে বলল।
-নেমে আয় সাবধানে। আমার
পিছন পিছন আসবি। হড়বড় করবি না।
চাতাল থেকে সরু রেলিঙ
দেওয়া পাথরের সিঁড়ি নেমে গেছে নীচে। এই ঘন অন্ধকারেও তারাদের আলোয় তার কিছুটা মিত্র
দেখা যাচ্ছে। আশুদার পিছূ পিছু নামতে নামতে দেখতে পেলাম তিরদগড় পাহাড়ের যতো নীচে আসছি,
ততো পাহাড়ের গায়ে প্রকৃতির নিজস্ব কারুকাজ স্পষ্ট হয়ে আসছে। সময়ের সাথে সাথে স্তরিভূত
পাথরের নানান রঙের তারতম্য বর্ণালীর আলোর মতোই যেন এই ঘন অন্ধকারে সৃষ্টির আদিম সত্যকে
প্রতিভাত করে রেখেছে।
--বেশি তাকাস না উপরের
দিকে। মৌমাছি।
আশুদা বলতেই লক্ষ্য
করলাম, পাহাড়ের পাথুরে চাতাল থেকে ঝাড়লণ্ঠনের মতোই ঝুলছে মোমের চাক। আমরা বেশ খানিকটা
নেমে এসেছিলাম। কিন্তু অত্রি তো কোথাও নেই! নীচে নামতে নামতে একটি জায়গায় পাহাড় সমতলের
মতো তিরদগড় ঝর্নার জল যেন আঁজলা পেতে মেলে ধরল। এখানেই পর্যটকদের কেউ কেউ স্নান সেরে
নেয়, কেউ বা ছবি তোলায় মগ্ন হয়। সিঁড়ি বেয়ে নামতে নামতে দেখলাম সেই সমতলের মধ্যিখানে
একটি খাঁড়ির পাশে বিপজ্জনকভাবে দাঁড়িয়ে রয়েছে এক ছায়ামূর্তি। অন্ধকারের ভিতর সে যেন
আপনমনে কার সঙ্গে কথা বলছে। হাত নেড়ে অঙ্গভঙ্গি করে এক অতিনাটকীয় অর্কেস্ট্রার কণ্ডাক্টরের
মতোই সে যেন দাঁড়িয়ে রয়েছে। আশুদা ফিসফিস করে বলল।
-নাম ধরে ডাকবি না।
ছটফট করবি না। আমাকে ব্যাপারটা সামলাতে দে।
আমাকে সিঁড়ির কাছে দাঁড়াতে
বলে আশুদা তারার আলোয় ছায়ামূর্তির মতোই অত্রির দিকে এগিয়ে গেল। তার পিছন থেকে জাপটে
ধরে সমতলের নিরাপদ জায়গায় নিয়ে এসে অত্রির মুখে চোখে জল ছিটিয়ে দিল।
কতক্ষণ এভাবে কেটেছিল
কে জানে! তবে অত্রির জ্ঞান ফিরতেই সে নিথর পাথরের মতো সিঁড়ি দিয়ে আমাদের সঙ্গে উপরে
উঠে চলল। লজে পৌঁছে দেখলাম সিঁড়িতে বসে রয়েছে সুচন্দ্রা। সে এতক্ষণ বিলাসরাও বি অনুসূয়ামাসিকে
কিছু জানতে দেয়নি। অত্রিকে তার হাতে তুলে দিয়ে আশুদা শুধু বলল, "দরজায় ভিতর থেকে
ছিটকানি লাগাতে ভুলবে না। আর আমরা বাইরে থেকে হ্যাচ লাগিয়ে দিচ্ছি। সতর্ক থেকো। আমরাও
থাকছি। যদিও মনে হয়, বিপদ কেটে গেছে।"
বাকিটা রাত ঘটনাবিহীনভাবেই
কেটে গেল। পরদিন সকালে মেঘ কেটে যাওয়া রৌদ্রের মতোই সকলে প্রাতঃরাশে জড়ো হলাম, যদিও
সুচন্দ্রাকে দেখে বুঝলাম যে সে সারা রাত জেগে ছিল। গাড়ি ঠিক করে আমাদের চালক জগদলপুর
নিয়ে চলল আমাদের। পথে ধরমপুরায় বিলাসরাওজি 'আলবিদা' জানিয়ে নেমে গেল। জগদলপুরে এসে
আশুদা অনুসূয়াকে বলল, "সুচন্দ্রা আর অত্রি, ওদের দুজনেরই স্নায়ুজনিত সমস্যা রয়েছে।
নজরে রাখুন।" বলে আশুদা বেরিয়ে গেল। কোথায় যাচ্ছে জিজ্ঞেস করতে শুধু বলল, "তিনঘন্টা
বাদে আসব। তোরা খেয়ে নিস।" অগত্যা তিনঘন্টা আমি স্বতন্ত্রযাপনে। ঠিক করলাম একবার
রাজবাড়ি ঘুরে আসব। অনুসূয়া অত্রি আর সুচন্দ্রার কাছে রইলেন। আমি যাবার আগে রামেশ্বরজির
কাছ থেকে জেনে নিলাম রাজবাড়ি কোন দিকে। রিকশা করে সদরের কাঠের গেটের সামনে পৌঁছেই চমকে
উঠলাম। এখানেও গেটের উপর সেই আদিবাসী দম্পতির মুখোশ। 'রত্তি মিত্তি'। এই রত্তিমিত্তির
মুখোশ সুদূর জগদলপূর থেকে মহিষাদলের মনোরঞ্জন শিকদারের অন্তিম শব্দে পৌঁছোল কী করে ভাববার চেষ্টা করছিলাম। আশুদা যাকে
বলে ব্যবচ্ছেদ। যুক্তি দিয়ে মনের ডিসেকশন। এমন তো হতে পারে যে 'চিত্রকূট অপেরা' দলে
অলোককৃষ্ণ আর মুরারীমোহনের আলোচনায় উঠে আসত এই রত্তি মিত্তির নাম! তবু মনোবিজ্ঞান বলে,
মানুষের মৃত্যুর ঠিক আগে উচ্চারিত শব্দ সাধারণত খুব তাৎপর্যপূর্ণ হয়। কে জানে, মনোরঞ্জন
কী বোঝাতে চেয়েছিলেন! শকুন্তলাদেবীর ধর্ষণকাণ্ডে তিনি যদি দ্বিতীয় অপরাধী হন, তাহলে
অবশ্য তাকে আর দোষী সাব্যস্ত করার সম্ভাবনা কেড়ে নিয়েছে নিয়তি। আমি রাজবাড়িতে ঢুকে
যেন প্রাকস্বাধীন ভারতের এক অন্য সময়দণ্ডে প্রবিষ্ট হলাম। কাঠের স্তম্ভ দিয়ে ঘেরা রাজবাড়ির
এক কোণায় পূজিত হচ্ছেন দেবী দন্তেশ্বরী। সতী মাতার এক রূপ। নাকি দোর্দণ্ড হিন্দু আধিপত্যের
লৌকিক দেবীকে আত্মস্থ করবার কৌশল। রাজবাড়ির এক এক ঘরে সজ্জিত রাজার আভূষণ, সমরসরঞ্জাম।
কেন এই রাজাকে তির খেয়ে, গুলি খেয়ে স্বাধীন রাষ্ট্রের হাতে মরতে হলো। তবে কি এই স্বাধীনতা
আসলে একটি মোহ মাত্র! রাজবাড়ির দক্ষিণদরজার পাশে একটি মাঝারি মাপের কাঠের হাতি। তার
একপায়ে শিকল বাঁধা। অনুসূয়া কী তবে এর কথাই বলছিলেন? লক্ষ্মীপুজোয় সে শিকল ধরে টানতে
হয়। এমনই এক মোমের হাতি আমরা তথাগত অধিকারীকে বলে নিয়ে এসেছিলাম শম্ভুবাবু লেনে সুচন্দ্রার
পৈতৃক বাড়ি থেকে। আশুদা কি তবে এই প্রথার কথা জানতো? সেই কারণেই সেই হাতিটিকে সযত্নে
সঙ্গে করে এনেছে এখানে? এইসব ভাবতে ভাবতে ফিরে এলাম গেস্টহাউজে। এসে দেখলাম আশুদা তখনও
ফেরেনি।
পরদিন সকালে ফ্লাইট।
অত্রিদের সঙ্গে দেখা করে ঘরে ঢুকে গোছগাছ করে নিচ্ছিলাম। বেশ রাত করে আশুদা ফিরল। ফিরেই
বলল, "রাজবাড়ি গিয়েছিলিস বুঝি?" আমি চমকে বললাম, "কী করে বুঝলে?"
আশুদা সোফায় গা এলিয়ে দিয়ে বলল, "কপালে মা দন্তেশ্বরীর মন্দিরের লাল তিলকটা এখনও
পুরোপুরি তুলিসনি। যাক। এইটুকু সময় অনেকগুলো গুরুত্বপূর্ণ কাজ সারলাম বুঝলি।"
-কী কী কাজ সারলে শুনি?
-প্রথমেই ধরমপুরায় আগরওয়ালদের
পিভিসি পাইপের দোকানে গেলাম।
আমি আকাশ থেকে পড়লাম।
আমরা তো ওখান থেকেই এলাম। তখন দেখা করে এলেই তো হতো।
-না হতো না। আশুদা শুধরে
দিল।
-কেন হতো না?
-কারণ সকালে ওখানে গেলে
আমাদের সঙ্গে বিলাসরাও থাকত। লোকটাকে আমার প্রথম থেকেই সন্দেহ হচ্ছিল। এইভাবে গেলাম
বলেই অনেক প্রশ্নর উত্তর পেয়ে গেলাম।
-কীরকম?
-রোশনি অত্রির নেপথ্যচারিণী
হবার সম্ভাবনা কম। কথা বললাম ওর মায়ের সঙ্গে। মাত্র কয়েক মাস রোশনি আর সুদর্শন ওখানকার
স্কুলে পড়েছিল।
--তাতে কী? অত্রির মনে
আঁচড় রেখে যেতে সেই কয়েক মাস যথেষ্ট ছিল না ধরে নিচ্ছ কী করে?
--তা ধরছি না। তবে কী
জানিস। স্কুলে যখন বাচ্চাদের হাতে প্রথম ছবি আঁকার জন্য ক্রেয়ন ধরানো হয়, তখন প্রথাগত
রঙগুলো হলো মধ্যম লাল, মধ্যম হলুদ, মধ্যম সবুজ, মধ্যম নীল আর মধ্যম বেগুনি। এই সবকটি
রঙের সঙ্গে 'মধ্যম' জুড়ে যাবার কারণ নতুন হাতে উগ্র রঙ পড়লে রঙের ভারসাম্য নড়ে যেতে
পারে। যাকে বলা হয় 'কালার ব্যালান্স'। রঙের মতোই ঘটনার ক্রমেও একধরনের ভারসাম্য থাকে।
সেটা অনুভূত হতে হয়। আমার অনুমান বলছে, আগরওয়ালদের সঙ্গে কথা বলে যা বুঝলাম, তাতে মুরারী
পালচৌধুরীর ছেলের সঙ্গে রোশনির সেই ভারসাম্য থাকাটা মুশকিল। অবশ্য দস্যি প্রেমে ভারসাম্য
থাকবেই একথা তো কেউ বলেনি। সেক্ষেত্রে দ্বিতীয় যুক্তি। রোশনির ছোটবেলা থেকেই জলে ভয়ের
রোগ। তাই ঝরণায় এলোকেশী হয়ে স্নানরতা হবার সম্ভাবনা তার নেই। তাই অত্রির নেপথ্যচারিণীর
প্রোফাইলের সঙ্গেও মিলছে না।
--বেশ। তারপর?
--তারপর একটু অঞ্চলের
মানুষের সঙ্গে কথা বলে খোঁজ নিলাম বিলাসরাওদের সম্পর্কে। ওর সম্বন্ধে আমি যা সন্দেহ
করেছিলাম তা সম্পূর্ণ অমূলক যে নয়, তা বুঝলাম ওই কথোপকথনে।
--কীরকম?
-অত্রি আর সুচন্দ্রার
ওই বাড়িদুটো বিলাসরাওকে দলিল করে লিখে দেওয়া হয়নি। দশ বছরের চুক্তি হয়েছে রক্ষণাবেক্ষণের।
কিন্তু বিলাসরাও পুরো সম্পত্তিটাই জলের দরে দাঁও মারতে চাইছে।
-সেই কারণেই কী ওই মাওবাদীদের
চিঠি নিয়ে হুমকির গল্প ফেঁদে বলল আমাদের?
-সম্ভবত। এই ব্যাপারটা
অত্রিদের জানানোর দরকার।
-বেশ। তারপর?
-তারপর গেলাম জগদলপুর
সংশোধনাগার। ডাঃ মুরারী পালচৌধুরীর এখানকার কর্মস্থল।
-আর অত্রির হিপনোটিজমে
দেখা পাঁচশো চুয়াত্তর নম্বর সেল। তাই তো?
-সাবাশ অর্ক। মানতেই
হবে তোর মাথার ভিতর বুদ্ধির স্ক্যালপেল ধারালো হচ্ছে। জেলটা খুব বড় নয়। বর্তমান জেলার
সর্বানন্দ ঝার জানাশোনা। তাই আমার সঙ্গে সহযোগিতা করল খুব। ডাক্তার মুরারী পালচৌধুরীর
মধ্যে এক অদ্ভুত বৈপরীত্য ছিল। ওখানে এক বহু পুরনো কর্মচারী ছিল। নাম সুকদেব। তার কাছে
শুনলাম মুরারীর কাজকর্ম।
-কেমন বৈপরীত্য?
-কখনও কখনও সন্ধ্যায়
বেহালা বাজিয়ে গান শোনাতেন জেলের আবাসিকদের। তখন কখনও কখনও অত্রিকেও সঙ্গে নিয়ে আসতেন
সঙ্গে। আবার পরক্ষণেই জেলের চত্বরে আয়োজন করতেন মুরগির লড়াইয়ের। মুরগিরা পরস্পর পরস্পরের
আঘাতে তিলতিল করে মরছে। মুরারী সকলকে নিয়ে সেই নৃশংস দৃশ্য উপভোগ করতেন।
-কী সাঙ্ঘাতিক! আর পাঁচশো
চুয়াত্তর নম্বর সেল।
-রেজিস্টার দেখলাম।
ওই সেলে মুরারীর সময় যারা যারা ছিলেন তাদের নাম লিখলাম কাগজে। তার মধ্যে হঠাৎ একটি
নাম চোখে পড়ল। পরশুরাম সিং। লোকটা রাডিক্যালিস্ট। পলিটিক্যাল প্রিজনার হয়ে ছিলেন ওই
সেলে। রাষ্ট্রের নির্দেশে নানান অত্যাচার করা হয়েছে ওর ওপর। শেষে মুরারীর তৎপরতায় পরশুরামকে
ছেড়ে দেওয়া হয়। এই সব কথা শুকদেব আমাকে জানালো। এই পরশুরামের একটি মেয়ে ছিল। অত্রির
সমবয়সী। তার নাম জানতে চাস?
-বলো?
-লক্ষ্মী সিং।
-সেই মেয়েটি যে অত্রি
সুছন্দাদের ঘরে আগুনের থেকে বাঁচিয়েছিল?
-ঠিক তাই।
-তবে কি লক্ষ্মীর বাবার
উপর রাষ্ট্রের অত্যাচার অত্রির মনে গভীর দাগ কেটেছিল?
-হতেই পারে। লক্ষ্মীর
প্রতি অত্রির অনুরাগ, আকর্ষণ অসম্ভব নয়। যাক গে। কেমন লাগেজ গোছালি দেখি।
আমার আর আশুদার দুটি
স্যুটকেস। আশুদা তার স্যুটকেস বের করে মোমের হাতিটা নেড়েচেড়ে দেখছিল। আমার হঠাৎ রাজবাড়িতে
দেখা দৃশ্য মনে পড়ে গেল। আশুদাকে রাজবাড়ির চাতালে পায়ে শিকল পরা কাঠের হাতির কথা বললাম।
সেকথা শুনে আশুদা খানিক চিন্তামগ্ন হলো। তারপর মোমের হাতির পিছনের পায়ে লেগে থাকা শিকল
ধরে পিছনের দিকে টান দিল হঠাৎ। আর ঠিক তখনই আমাদের অবাক করে হাতির পিঠের কাছে একটা
কবজা খুলে হাতির পেটের খালি খোপ উন্মুক্ত হয়ে
গেল। সেই খোপে একটি হলুদ হয়ে যাওয়া কাগজ। সেই কাগজে লেখা, "আমি আর তুই, রত্তি
আর মিত্তি"। হাতের লেখাটা খুব চেনা। হঠাৎ মনে পড়ে গেল, লালবাজারে সিজারলিস্টে
পাওয়া চিঠিগুলোর হাতের লেখা হুবহু মিলে যাচ্ছে। তার মানে শকুন্তলাদেবীর সত্যিই একজন
প্রেমিক ছিল! আশুদা কাগজটা বারবার উল্টেপাল্টে দেখতে দেখতে বলল, "মনোরঞ্জন শিকদারের
মৃত্যুর আগে বলা শেষ শব্দ আর শম্ভুবাবু লেনের মোমের হাতির পেটের ভিতরের চিঠির শব্দে
সেই রত্তি মিত্তি। যার মুখোশ দেখলে সুচন্দ্রা অজ্ঞান হয়ে যায়। কী আছে এই রত্তি মিত্তির
ভিতর? আশ্চর্য!"
(ক্রমশ)
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন