ধারাবাহিক উপন্যাস
দিগন্তসেনা
(২২)
অনেক চেষ্টা চরিত্র করে চতূর্থ ব্যাটেলিয়নের খুদে সদস্যদের সেই
সঙ্গে উপমা, লগ্নলতা, জঁ লুক রল্যা ও তার সহকারী এবং সরকারী আধিকারিকদের বাড়ি ফেরার
ব্যবস্থা করে ফেলে পেদ্রো গুয়েররেস। শ্যামাঙ্গীকে জানায় যে সুইডেন আর ব্রিটেনের মধ্যে
রেপিস্টদের নিয়ে কি একটা সমস্যা হয়েছে। শ্যামাঙ্গী ভাবল আরো কিছুটা দূর এগিয়ে গিয়ে
বিষয়টা জানতে পারলে মন্দ হয় না, যদিও একজন রাষ্ট্রপ্রধান হিসেবে অনেক জাঁতাকলের মধ্যে
থাকার সম্ভাবনার কথাটাও একেবারে উড়িয়ে দেওয়া যায় না। সে স্থির করল যে যাবে।
পৌঁছানো মাত্র দেখল কথাটা সত্যি। সে যখন এ বিষয়ে খোঁজ খবর করতে
গেল দেখল সকলেই কেমন চুপচাপ হয়ে গেল তাকে তথ্য জানানোর ব্যাপারে। বরং তারা অতিথি আপ্যায়নের
ব্যাপারে খুব বেশি ব্যস্ত হয়ে পড়ল। ততক্ষণে অভিমন্যুও ওখানে পৌঁচেছে। সরকারী বদান্যতা
নাকচ করে দিয়ে কর্ণেল শ্যামাঙ্গী, পেদ্রো গুয়েররেস ও অভিমন্যু প্রথমেই একটা হোটেলে
ঘর ভাড়া নিল তিনটে। তারপর পরিস্কার পরিচ্ছন্ন হয়ে পেদ্রো গুয়েররেস আর অভিমন্যু দুজনে
গিয়ে কর্ণেল শ্যামাঙ্গীর দরজায় কড়া নাড়তেই সে এসে দরজাটা খুলে দিল আর ওরা দুজন খুব
অবাক হয়ে দেখল কর্ণেল শ্যামাঙ্গী এখনো আগের ফর্মাল পোশাক পরেই ঘরে আছে।
অনেকটা সময় কেটে যাবার পর কর্ণেল শ্যামাঙ্গী পেদ্রো গুয়েররেসকে
ডেকে অভিমন্যু ওর সঙ্গে নেই দেখে সে কোথায় তা জানতে চাইল। পেদ্রো জানাল যে সে তার ঘরেই
খুব আপসেট হয়ে বসে আছে। কারণ জানতে চাইলে পেদ্রো বলল যে সে জানে না। শ্যামাঙ্গী পেদ্রোকে
তাড়াতাড়ি ফেরার ব্যাবস্থা করতে বলে অভিমন্যুকে ডেকে দিতে বলল। অভিমন্যু এলে কর্নেল
শ্যামাঙ্গী হাতের ইশারায় ওকে বসতে বলল। তারপর যাবার প্রসঙ্গ তুলতেই সে বেচারা কেঁদে
ফেলল। শ্যামাঙ্গী খুব আশ্চর্য হয়ে গিয়ে জিজ্ঞেস
করল কী হয়েছে। উত্তরে সে জানাল তার এক বন্ধু মারফত খবর পেয়েছে হাভারড বিশ্ববিদ্যালয়
থেকে তার শেষ পরীক্ষার ফল পেয়েছে। কর্নেলের মনে হল হয়ত পাশ করেনি বা ভালো রেজাল্ট করে
নি, তাই আপসেট। কিন্তু যখন শুনল যে সে খুব ভালো ফলাফলই করেছে, তখন শ্যামাঙ্গী তার রেজাল্টের
খুঁটিনাটি বিষয়ে জানতে চাইল। আর সে যখন জানল যে তার সামনে বসে থাকা ছেলেটি অতীতের সব
রেকর্ড ভেঙে দিয়ে সবচেয়ে বেশি নম্বর নিয়ে পাশ করেছে, তখন সে প্রথমে কোন কথাই বলতে পাড়ল
না কিছুক্ষণ। তারপর সে জিজ্ঞেস করল যে এ তো আনন্দের ব্যাপার, তাহলে এতো আপসেট কেন!
অভিমন্যু বলল,’আমার ভালো নম্বর চাই না শ্যামাঙ্গী জানতে চাইল তাহলে তার কী চাই! উত্তর
এল,’আপনাকে’। ‘আমাকে মানে?’ সে জানাল সে কর্নেলকে সারা জীবন নিজের করে কাছে পেতে চায়।
কর্নেল সি শ্যামাঙ্গী ওরফে দিগন্তসেনার রাষ্ট্রপতি শ্যামাঙ্গী
চট্টোপাধ্যায়ের পিঠ দিয়ে যেন একটা ঠাণ্ডা স্রোত বয়ে গেল। সে চাবুকের মতো ঊঠে দাঁড়াল।
কয়েক পা সামনের দিকে হেঁটে যেতেই অভিমন্যু মাটিতে ওর সামনে বসে পড়ল। কর্নেল চুপচাপ
দাঁড়াল একটু। কর্নেল ওকে উঠে দাঁড়াতে বলল। তারপর ওকে বলল পেদ্রোকে ডেকে আনতে। অভিমন্যু
জানতে চাইল তার প্রেমের প্রস্তাবের একটা উত্তর। কর্নেল জানাল যে সে প্রেম বিষয়টা জানে
না, সে শুধু জানে ধর্ষণের বংশ ধ্বংস করতে। অভিমন্যু তখন বলল যে সে ওর সঙ্গে কাজ করতে
চায়। উত্তরে কর্নেল জানাল যে সে তা পরে ভেবে দেখে জানাবে। অভিমন্যু আবার বলল তার প্রেম
নিবেদনের একটা উত্তর তাকে অন্তত জানিয়ে দেওয়া হোক। শ্যামাঙ্গী দু পা পিছিয়ে গিয়ে একটা
সোফায় ধপ করে বসে পড়ল। অভিমন্যু দেখল কর্নেল ঘামে ভিজে যাচ্ছে, মেঝের দিকে এক দৃষ্টে
দেখছে। সে ভয় পেয়ে গেল। জিজ্ঞেস করল,’কর্নেল, আপনার কি শরীর খারাপ লাগছে? আমি ডাক্তার
ডাকব?’ কর্নেল হাত দিয়ে ইশারা করল যার মানে, না। আবার ইশারা করে জল চাইল। ঘরের অন্য
প্রান্ত থেকে তাড়াতাড়ি অভিমন্যু জল এনে তার সামনে ধরল। কর্নেল জলটা খেয়ে চুপ করে বসল।
খোলা দরজা দিয়ে পেদ্রো ঘরে ঢুকল। জানাল তাদের যাবার ব্যবস্থা পাকা হয়েছে। শুনে কর্নেল
বেরাবার জন্য তোড়জোড় শুরু করল।
অভিমন্যু বাড়ি ফিরতেই আনন্দে উৎসব শুরু হয়ে গেল একেবারে। একে
তো অনেকদিন পর বাড়ি ফিরেছে বলে কথা, তার ওপরে তার পরীক্ষার ফল এতো দুর্দান্ত হয়েছে।
কিন্তু অভিমন্যুর এই সব কিছুর চেয়েও বড় আনন্দের খবরটা কেউ এখনো জানতেই পারে নি শুধু
এই কারণে যে অভিমন্যু নিজেই এই খবরটা তখনো পর্যন্ত জানতে পারে নি অদূর ভবিষতে কী ঘটতে
যাচ্ছে তার জীবনে। তাই তার পক্ষে আগাম কোনো আনন্দের খবর তার পরিবার কে দিতে যাওয়া সম্ভবও
ছিল না।
পেদ্রো গুয়েররেস দিগন্তসেনা ফিরে গেলেও কর্ণেল শ্যামাঙ্গী নিহিতপাতালপুরী
তে গেল। তার বাবা মাকে প্রথম বলল অভিমন্যুর কথা যা শুনে মানময়ী আনন্দে চমকে উঠল। কথাটা
অনঙ্গের কানে যেতে সেও বলে উঠল,’এ তো খুব ভালো কথা!’ শ্যামাঙ্গীর যথেষ্ট সন্দেহ হল
যে মানময়ী আর অনঙ্গ সত্যি সত্যিই সব কথা বুঝতে পেরেছে কিনা। তাই সে খুব ফিসফিস ওদের
কানের কাছে মাথাটা নিয়ে গিয়ে বলল যে ছেলেটা তার থেকে ছোট, প্রায় অর্ধেক বা তারও কম
বয়সী। তখন অনঙ্গ বলল যে তা হোক না , ক্ষতি কী আছে তাতে! সে যা মেধাবী তাতে তার জন্য
উজ্জল ভবিষ্যৎ অপেক্ষা করে আছে। আর তাছাড়া তুমি তো একটা দেশ চালাচ্ছ। তোমারও তো কোন
কিছুর অভাব নেই। তাহলে আপত্তি টা কোথায়! মানময়ী বলল, শ্যামাঙ্গীকে দেখে ওর বয়স বোঝা
যায় না। সব সত্যি কথাগুলোর আদানপ্রদান তো হয়েই গেছে। সে তো আর নিজে থেকে যায় নি ছেলেটার
কাছে। বরং ছেলেটাই এসেছে। তাই আর ভাবার দরকার নেই। অনঙ্গ বলল যে দরকার হলে সে কথা বলবে
ছেলেটার সঙ্গে। সঙ্গে সঙ্গে মানময়ী বলল যে সেও কথা বলবে। তারপর সুদাম আর অলঙ্ক্রিতা
কে বলতে ওরাও বলল যে সে রকম হলে তার চেয়ে ভালো আর কিছুই হতে পারে না। শকুন্তলাকে না
পেয়ে চৈতিকে ও সব বলল। চৈতি শুনে তো আনন্দে পাগল হবার দশা। সঙ্গে সঙ্গে উপমা আর তার
স্বামী আনন্দে এমন পাগল হয়ে গেল যে তাদের চোখের পাতা পড়ল না। ওদিকে শকুন্তলা পরের দিন
সাত সকালে এসে হাজির রেঁনোয়া বত্তিচেল্লিকে নিয়ে আর এসেই শ্যামাঙ্গীকে এমন জড়িয়ে ধরল
যে তার দম আটকে জীবন প্রায় যায় আর কি। পেছন ফিরতেই লগ্নলতাকে দেখল, ও দাঁড়িয়ে হাসছে।
ফাগুন আর শ্রাবণ এসে বলল ব্যাপারটা নাকি জমে যাবে। সোফি আর অভিনন্দা এসে শুরু করে দিল
কি কি আয়োজন করা যেতে পারে তার একটা পরিকল্পনা। দিগন্তসেনায় পৌঁছে তার চোদ্দ জন ছেলেকে
ডেকে পাঠাল। এবার সে নিশ্চিত ছিল কিছু একটা ঘটতে যাচ্ছে।
ওরা শুনে এমনভাবে লাফিয়ে উঠল যেন ব্যাপারটার কেন্দ্রে রয়েছে
ওরাই। দ্বিধা, পিপীলিকা, মহিমা এসে আনন্দে তাদের মাকে জড়িয়ে ধরল। নীলনদ আর উল্কা বলল
যে এর চেয়ে ভালো আর কিছুই হতে পারে না। চতুর্থ ব্যাটেলিয়নের খুদে সদস্যরা খুঁজে খুঁজে
ঠিক ওকে ধরে ফেলল। বলল যে তারাও শ্যামাঙ্গীর সঙ্গে আছে। সব কিছুর শেষে অনঙ্গ বলল যে
লোকে কে কী ভাবল তাতে আমাদের কী আসে যায়?
শকুন্তলা এসে জানতে চাইল যে তাহলে ব্যাপারটা কী দাঁড়াল। শ্যামাঙ্গী
হাবে ভাবে বোঝাল যে তা সে নিজেও জানে না। তখন শকুন্তলা একটা বুদ্ধি দিল। সে বলল যে
আগে তারা দুজনে মিলে বন্ধুর মতো পাশাপাশি থাকতে শুরু করুক। তারপর দেখা যাক কী হয়। অনঙ্গ
আর মানময়ী শকুন্তলাকে এ ব্যাপারে উদ্যোগ নিতে বলল। শকুন্তলা পেদ্রো গুয়েররেস কে দায়িত্ব
দিল অভিমন্যুকে ডেকে আনার জন্য। তারপর তাকে নিয়ে অনঙ্গ আর মানময়ীর কাছে গেল। সবাই মিলে
ঠিক হল যে পেদ্রোর পাশাপাশি পেদ্রোর মতো ওর সব সময়ের সহকারী হিসেবে অভিমন্যুও শ্যামাঙ্গীর
কাছকাছি থাক। আর পেদ্রোকে বলা হল সে যেন একটু দূরে দূরে থাকে যাতে ডাকলেই শ্যামাঙ্গী
অভিমন্যুকেই পাশে পায়। অভিমন্যু শ্যামাঙ্গীর বাড়িতেই থাকতে শুরু করে দিল। পড়াতে শুরু
করে দিল দিগন্তসেনার একটা বিশ্ববিদ্যালয়ে সপ্তাহে মাত্র দুচারটে ক্লাস নেবার জন্য।
ফলে শ্যামাঙ্গীর সঙ্গে অভিমন্যুর প্রায় অনেকটাই দেখা হলেও মাঝেমাঝেই আবার দেখা না হওয়ারও
পরিস্থিতি তৈরী করে রাখা হল।
দিগন্তসেনা আর মূল ভূখন্ডে দু জায়গায়ই রাষ্ট্রপতি নির্বাচনের
ব্যাবস্থা করা হল। মূল ভূখন্ডে অবশ্য ব্যাপারটা এমনিই সময় হয়ে এসেছিল বলে হল। কিন্তু
দিগন্তসেনায় সমস্ত মন্ত্রীমন্ডলী আর অন্য সব ব্যাপারটাই পত্তনের পরে পরেই যা করা হয়েছিল
সেই ব্যাপারটাই থেকে গিয়েছিল। কর্নেল শ্যামাঙ্গী বারবার নির্বাচন করার কথা বলার পরেও
হঠাৎ করে যুদ্ধ পরিস্থিতি আর ইরানিরানে সামরিক শাসন জারি হবার পরিস্থিতি তৈরী হবার
কারণে তা হয়ে ওঠে নি। তাই সেটা এখন করা হচ্ছে। এবার নির্বাচনে পুরনো এতোদিনকার মন্ত্রীরা
বেশির ভাগই অব্যাহতি চাইল। তবে কেউ কেউ রইল। কর্নেল শ্যামাঙ্গী আর রাষ্ট্রপতি পদে প্রার্থী
হতে চাইল না। ফলে এমন একটা অচলাবস্থা হয়ে গেল যে দিনের পর দিন দিগন্তসেনার কাজকর্ম
বন্ধ হতে শুরু করল। অন্যান্য বিষয়ে বেশির ভাগই পরবর্তী প্রজন্মের ছেলেমেয়েরা মন্ত্রিত্বের
দায়িত্ব কাঁধে তুলে নিল। মন্ত্রীদের দলের মধ্যে ইতালিয় ছাত্রছাত্রীদের দলটা, যারা এতোদিনে
বিবাহ সূত্রে বা অন্যান্য কারণে এখানকার নাগরিক হয়ে গেছে, তারা প্রধান ভূমিকা গ্রহণ
করল। ফলে যেটা দাঁড়াল – শিক্ষাদপ্তর এল উজ্জয়িনী রোদ্রিগেজ ও শিলালিপি মোরেত্তি, স্বাস্থ্যদপ্তরে
ভালেন্তিনা কারেনিনা, অগ্নি রোশারিও। কোনারক দাসগুপ্ত ও অগ্নি ইসলাম রইল শিক্ষাদপ্তরে,
শিল্পদপ্তরে থাকল কলা সেভেরন্যিনি ও হেলেন মানফ্রেদি, স্বরাষ্ট্র দপ্তরে থাকল উজ্জয়িনী
কুন্তল ও আগমনী কুন্তল, অর্থ দপ্তরে রইল অনুস্কা বারিক্কো ও দেব ভদ্র, পরিবহন দপ্তরে
অ্যাঞ্জেলা ব্রাউন ও ঋক ভেসকোভো, ক্রীড়া দপ্তরে রইল ধানী লোলোব্রিগিদা ও আবীর সেন, মানব সম্পদ উন্নয়ন দপ্তরে
আনা রাজবর্গী ও হেলেন মানফ্রেদি, নগর উন্নয়ন দপ্তরে থাকল তুপাক ইউপানকি, মানকো আপারু,
ইলিনা লোরেন, পূর্ত দপ্তরে হেলেন থ্যালেস ও অজন্তা চিতারিস্তি, আবহাওয়া দপ্তরে থাকল
সুকন্যা গোমস ও শিলা সিং এবং বিদ্যুৎ দপ্তরে রেবেকা চট্টোপাধ্যায় ও অশোক জৈন, তথ্য
ও সংস্কৃতি দপ্তরে উপমান দাসগুপ্ত ও আয়ুষ পীক্কো, প্রতিরক্ষা দপ্তরে শহর চট্টোপাধ্যায়,
অরণ্য চট্টোপাধ্যায়, কবীর চট্টোপাধ্যায় কর্নেল শ্যামাঙ্গী, শ্রম দপ্তরে থাকল আলেসসান্দ্রো
মারাইনি ও পুলোমা ঘোষ।
মুখ্যমন্ত্রী পদে বসল চৈতি চট্টোপাধ্যায়, উপমুখ্যমন্ত্রী রেঁনোয়া
আগামেনন। সর্বসম্মতিক্রমে রাষ্ট্রপতি পদে শ্যামাঙ্গী চট্টোপাধ্যায়ের নামই উঠে এল। ফলে কর্নেল শ্যামাঙ্গী
বাধ্য হল সে দায়িত্ব কাঁধে তুলে নিতে। তাছাড়া যুদ্ধ পরিস্থিতির কথা মাথায় রেখেও শ্যামাঙ্গী
চাইল যে সে থেকে যাক এবারের মতো দিগন্তসেনার রাষ্ট্রপতি।
মূল ভূখণ্ডের রাষ্ট্রপতি নির্বাচন এমন সময় হল যে সেখানে ফিরে
তাকাবার সুযোগ কারুর হল না। কেননা ততক্ষণে দরজায় কড়া নাড়ছে যুদ্ধ। তাই সবে মাত্র কর্নেল
শ্যামাঙ্গী আর প্রতিদ্বন্দ্বী হিসেবে মূল ভূখণ্ডের একজন শিক্ষাবিদ রামায়ণ ভরদ্বাজ-এর
নাম ভোট পর্ব শুরু হওয়াকালীনই অতর্কিতে আঘাত আসে জাপানাপান থেকে। সঙ্গে সঙ্গে কর্নেল
শ্যামাঙ্গী প্রত্যাঘাতের জন্য নির্দেশ দেয় দিগন্তসেনার প্রতিরক্ষা দপ্তরকে যখন কিনা
সেই দপ্তর পুরো আগের দপ্তরের থেকে কাজকর্ম বুঝে নিলেও দায়দায়িত্ব, বিশেষত যুদ্ধ সংক্রান্ত
ব্যাপারটা বুঝে নিয়ে উঠতে পারেনি। কিন্তু নির্বাচনের ফলাফলে কর্নেল শ্যামাঙ্গীর নাম
জয়ী প্রার্থী হিসেবে ঘোষণা হতে শুনেই চৈতি, শকুন্তলা ও অন্যান্যরা তাড়াতাড়ি শ্যামাঙ্গীর শপথ নেওয়ার ব্যাবস্থাটা করে ফেলে। শপথ
অনুষ্ঠান গোটা বিশ্বের দরবারে বেতার ও দূরদর্শন মারফৎ সম্প্রচারও করা হয়। ফলে এবারের
যুদ্ধ পরিস্থিতি একেবারে আলাদা একটা মাত্রা পেয়ে যায়।
(ক্রমশ)
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন