সোমবার, ১ জুলাই, ২০২৪

দেবনাথ সুকান্ত

কবিতার কালিমাটি ১৩৬



ছায়া-বাস্তবতা এবং নিয়তি

 

(১)

 

বাস্তবতা আছে কিন্তু কোনো জাদু নেই

সবকটি জানালা দরজা আপনা থেকে খুলছে এবং বন্ধ হচ্ছে বলে

কলকব্জার কান্না পরিণত হচ্ছে আর্তনাদে

আর বলছে ছায়াদের কোনো মুখ থাকে না তাই তারা ছবি আঁকতে পারেনি 

তার অস্তিত্ব শুধু প্রতিফলন বিরোধিতায়

কিন্তু এও এক সত্যি 

আলোর পথ যে রুদ্ধ করবে দেয়ালে ফুটে উঠবে তার ছবি 

এবং হাতে ধারালো যা রয়েছে তাও কিন্তু ট্রান্সপারেন্ট নয়    

 

(২)

 

এতাবৎ একটি মাত্র সুখ-সংবাদ এসেছে যে নিয়তি অন্ধ ছিল

তাই যখন ছবি আঁকতে বসেছিল ছায়ার মুখ ছিল তার গর্ভজাত

সুন্দর সুডোল এক হাতের সন্ধানে হেঁটে যেতে যেতে

হেঁটে যেতে যেতে হেঁটে যেতে যেতে এবং হেঁটে যেতে যেতে

অনতিক্রম্য মরুভূমির মাঝ দিয়ে হেঁটে যেতে যেতে 

তেজস্ক্রিয় যে প্রেম বুক থেকে ছড়িয়ে পড়ছে

সেও মরেছে বিশ্বাসঘাতকতায়  

স্পষ্ট শুধু তার উল্লাস

 

(৩)

 

বিমূর্ত একমাত্র রাত্রি ছিল 

এত অর্থহীনতাও কি স্পষ্ট হয়ে উঠেছিল 

একটা মায়াহীন পথ

যতদূর চোখ যায় যতদূর যতদূর চোখ যায়

মাইল ফলকের পর মাইল ফলক বিছানো রয়েছে দূরত্ব লেখা নেই

তুমি গ্যালিলিও দূরবীন চোখে নিয়ে দেখছও বর্ণচ্ছটা

যদিও সে সাদা আলোই পাঠিয়েছিল

 

(৪)

 

গন্তব্য যদি নিখিল ব্যোম হয় তবে আর এই সব ব্যক্তিস্বাধীনতা নিয়ে

গেলাসের কান্না কতটা প্রাসঙ্গিক

মৃত প্রেমের অশুভ আত্মা টেনে নিচ্ছে এক গোরস্থানের গোরস্থানে   

সে আর কেউ নয় বুক তোমার বুক আমার বুক সবার বুক

এমন কি তারও বটে

সোলো মিউজিকের সুর এবং তা এতটাই সমাচ্ছন্ন যে 

রাতের স্যাক্সোফোন সেই গেলাসেই ইবাদত রেখেছে

  

কোন মন্তব্য নেই:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন