সোমবার, ১ জুলাই, ২০২৪

ধীমান চক্রবর্তী

 

কবিতার কালিমাটি ১৩৬


অহং - জানলা

 

রাস্তা মুছে দিলে। আগুন।

পোড়া ফ্রক। মেঘের বিজন।

টুপটাপ করে। জানলার

অক্ষর ছুঁয়ে দেয়। নিজেকে

আনন্দ- স্বরূপ মনে করে।

অন্ধকার অথবা সকালের।

নৈঃশব্দ মনে করে।

সাইকেল চালিয়ে। বৃদ্ধাশ্রমে

পৌঁছে। চুপচাপ টেবলে

বসে। চামচ দিয়ে। নিজের

অহং তুলে খায়। বারবার।

মোছা রাস্তায়। চেতনা ও

শূন্যের বাজানো শিস অথবা

অবয়ব হাঁটতে থাকে।

 

রক্ত - জানলা

 

চোখ খোলা। মাঝে মাঝে

কিছুই দেখতে পায় না।

আবিষ্কারের নেশা। তাকে

পেয়ে বসে। চোখ বুজেও।

জানলা দেখতে পায়।

সমুদ্রের তলদেশে। হেঁটে বেড়াচ্ছে।

বাংলা ভাষা। জলের শরীরে।

বাসা বেঁধেছে কয়েকজন পাখি।

যারা বাংলায় কথা বলে।

লেগে থাকা রক্তের

ফটোকপি নিয়ে। ভাবছে

কী করে পেরিয়ে যাবে  

ভারি বুটের আওয়াজ।

পেরিয়ে যাবে সমাহারে

নিজেই নিজেকে।

 

গাছ - জানলা

 

হাঁটতে হাঁটতে। হঠাৎ

ঘুরে দাঁড়ায়। অন্ধকার খুলে।

খিল ও নিখিল খুলে।

শুনশান পাওয়া আলো।

জ্বালিয়ে দেয় জানলা।

শোবার ঘরে। চিৎকারগুলো

জড়ো করে। বুদ্ধ-বুদ্ধ গাছ  

খেলে। ওই গাছই তো

তাকে নিয়ে এসেছে এতদূর।

হেঁটে আসতে আসতে। শূন্য

রাস্তারা সামান্য দেবী হয়।

মেঘ গড়িয়ে নামার হাতছানি --

অপার হয়।

 

 


কোন মন্তব্য নেই:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন