সোমবার, ১ জুলাই, ২০২৪

পলাশ দে

 

কবিতার কালিমাটি ১৩৬


থার্ড ওয়ার্ল্ড

 

হাসো, ছবি তোলার সময় হাসতে হয়

খাও, এমন হাঁ যেন আলজিভ পর্যন্ত দ্যাখা যায়

ভেতরে কাঁটাতার নাকি আততায়ী

 

হ্যালো টেস্টিং হ্যালো  হ্যালো... হেলেছ ?

হ্যাঁ হুজুর, এই যে হাসছি কাঁদছি চুমু খাচ্ছি

খেতে খেতে খেতে খেতে

ক্ষেত খামারে সাজিয়ে রাখছি নিজেদেরই মৃত শরীর

 

গুনতি করতে অসুবিধে হবে না মাই বাপ...

 

মহারাজো

 

খেয়াল করছ মহারাজো,

কেউ খেয়াল করছে না

 

মুরগি ছেঁড়ার শব্দে প্রত্যেকবার জোট বাঁধছে পাখি আর গাছের হরতালে শরিক হয়ে উঠছে নৈঃশব্দ্য

'চলো বেড়িয়ে আসি'র দল পদতল... সমুদ্র প্লেট আর অন্তঃসত্ত্বা পাহাড়... যে কোনো মুহূর্তে উথলে আসতে পারে লাভা লাভাযজ্ঞ

সতর্ক হব নাকি উল্লাস

 

যে ভিনদেশ তুমি জানো, বাতাস দিয়ে শুরু

সহ্য দিয়ে শুরু যে সমর্পণ তুমি জানো,

 

চলো মহারাজো খেয়াল করে দেখি

কোনো শ্বাস দীর্ঘ হচ্ছে কিনা

 

নেশা

 

এ নেশা আমার কাটিয়ে দিয়ো না ঠাকুর

যত সমুদ্র যতই মন্থন থাকুক...

 

তোমার সঙ্গে টাল খেতে খেতে

ভবঘুরে আর পাগল দরজা খুলে

এই যে ছুটতে ছুটতে গোধূলি যন্ত্রণা

শান্ত হই শান্ত হও রহস্যে দুলে দুলে

 

তবু নেশা আমার কাটিয়ে দিয়ো না ঠাকুর

যত ময়না যতই তদন্তে উড়ুক

 

আমার চাবি হারানোর স্পর্ধা তোমার কাছেই থাক

পালিয়ে আসা শিকড়ের গন্ধ... তোমার কাছেই

নীচু পাতার কলোনি আমার... তোমার কাছেই থাক

 

তবু তবু নেশা... কাটিয়ে দিয়ো না ঠাকুর

যত শান্তি যতই শাস্তি নেমে আসুক

 

ওই ঠোঁট বেঁধে বেঁধে দুঃখ ঘেরাও সূচি

কৃষ্ণ ভেঙে ডাকি তোমাকে আর

ট্রাফিক খুলে ডাকছি

 

এমন নেশা কাটিয়ে দিয়ো না শোনো

আমার ঠাকুর তুমি... তুমিও তাই জানো


কোন মন্তব্য নেই:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন