কবিতার কালিমাটি ১৩৬ |
কবিতা ১
তোর উচিৎ ছিল উস্রি নদীর ঘাটে ঘাটে যাই ঘটুক না
কেন
ধ-এর পিঠে ন-এর জন্য আমি যেমন অপেক্ষা করে আছি
তেমনি আরো কিছু সময় অপেক্ষা করা
হঠাৎ বাতাস কাঁপিয়ে তুই চিৎকার করে উঠলি
তুই যখন এই রকম চিল্লামিল্লি করিস তখন
অনেক সময় তোকে তোর মতোই হাপুস-হুপুস লাগে
কখনো কখনো অবশ্য তুই নিজের গলাতেও কথা বলিস
তখন কেবল টিকটিকি-গিরগিটিরা তোর কথা শুনতে পায়
আসলে তুই একটা বড়ো-সড়ো অ-যাওয়ার দিকে যাচ্ছিস
সেখানে কেউ কোনোদিন যায়নি তুই-ই প্রথম
তোর এই যাওয়াটা শুধু তুই-ই বুঝতে পারছিস
বাকিরা তা দেখতে পাচ্ছে না
তুই ভালো করেই জানিস তুই সেখানে পৌঁছতে পারবি না
তবু তোর পা থামাথামি জানে না, সে শুধু হেঁটে যাচ্ছে
কবিতা ২
তুই অসুস্থ নোস, তুই পাগলও নোস
তুই রেগেও নেই আবার তুই
পোষা দুঃখের মধ্যেও
ডুবে যাসনি
ব্যাস, হতে পারে তুই শুধু খানিক আতুর হয়েছিস
তোর সব কিছুই কেমন ছায়ার মধ্যে
সব কিছুই কেমন ঝাপসা ও ঝমঝম
যা কিছু ছায়ার মধ্যে, সব কিছু টুকরো টুকরো
সব কিছু ছিনতাই হয়ে গেছে
কত চিহ্ন, কত জাবরকাটা
কেবলই
ছিনতাই হয়ে যাচ্ছে
তুই কি তা বুঝতে পারিস
কবিতা ৩
তুই-আমি-সে সকলেই জানাতে চাইছে
গতকালের উপসংহারে যা ঘটেছে
তা ঘটার ছিল
আবার কোনোদিন তা না ঘটতেও পারত
সব চেয়ে বড়ো আঘাত তো সেটাই যে
তুই ঠিক ততটা তুই নোস
ততটা তোর নিজেরও নোস
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন