কবিতার কালিমাটি ১৩৬ |
উজ্জ্বল জ্বর
একজন বন্ধু নাম পরিবর্তন করেছে।
ওকে পুরাতন নামে ডেকেছিলাম দু'একবার।
নতুন নামেও হয়েছে আলাপ।
হঠাৎই ওর পুরাতন নামটি মনে করতে পারছি না!
এরকম অনেক কিছু ভুলে যাওয়ার লক্ষণ প্রকাশিত!
তুমি বলছো—
এগুলো কোভিডের প্রভাব। জ্বরাক্রান্ত দিনগুলোতে
ভেঙেছিলো বেশকিছু উজ্জ্বল প্রেম।
তারা কোথায় গিয়েছে হারিয়ে; আজো খুঁজে পায়নি ঠিকানা!
ভীষণ ক্লান্ত আমরা—
ঝাঁপিয়ে পড়ছি নিজেদের পুনরুদ্ধারে।
চুমুবাহিত সংক্রমণে জেগে উঠছি ঘোরগ্রস্ত শঙ্কায়!
মাঝরাতে টেনে দিচ্ছি কাঁথা পরস্পরের গায়ে
জলপট্টির আড়ালে আমাদের কপালে
বেড়ে যাচ্ছে জ্বরের উত্তাপ!
শীতের ডাক
আসন্ন শীত এতো বেশি
কাঁপিয়ে দেয় তোমাকে
হেমন্তের রাত্রেই—
কড়া নাড়তে থাকো আমার ঘুমে
ঘুম ভাঙিয়ে জাগাতে চাও— ছাই চাপা আগুন
নিদ্রায় তলিয়ে যেতে যেতে, ভেঙে যেতে যেতে
হঠাৎ ডেকে ওঠো, আগুন
জানতে চাও— চাই কিনা শিকারের সন্ধান?
এতোটাই শীতার্ত এই হেমন্ত যে
বাকরুদ্ধ হয়ে গেছে তার ঠোঁট ও জিহ্বা
ঝলসানো শীতের ডাকে!
আত্মগোপন
আত্মগোপনের এই শীতে
হাঁটার শব্দ টুপ টাপ ঝরছে!
ঝরে পড়ে আবার
চিকচিক করে উঠছে—
বিন্দু বিন্দু রোদ্দুরে!
তুমি ভেসে যাচ্ছো হে কুয়াশা
ওগো সাদা সাদা নীরবতা...
তোমার ভেতরে ঢুকে যাচ্ছে জলস্রোত।
ঠান্ডা হাওয়ায় উড়তে পারা
পাখি এসে পৌঁছেছে তার কোলে।
কোলজুড়ে হাহাকার ঠেলে দেয় বিন্দু বিন্দু ছায়া!
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন