সোমবার, ১ জুলাই, ২০২৪

গৌরাঙ্গ মোহান্ত

 

কবিতার কালিমাটি ১৩৬


প্রাকৃতিক গ্যাস

 

কিউয়ে প্রায় ৩০ মিনিট দাঁড়াতে হয়; জ্বালানির উত্তাপ হরিপুরের সবুজ পত্রালিকে অস্পষ্ট করে রাখে; মাঝে মাঝে সঙ্কোচিত প্রাকৃতিক গ্যাসের চাতুর্য দুর্বোধ্য হয়ে ওঠে। হিসেবহীন গাড়ি রাজধানীর বাতাসকে নাৎসিনায়কের গোঁফের রং উপহার দেয়। আমরা রং পছন্দ করি বলে নানা সূত্র থেকে রং আহরণ করতে থাকি। রবীন্দ্রনাথ ফুলের রং নিয়ে এনজিনিয়ারিং করেছিলেন। ফুলের উৎপাদন হ্রাস পেয়েছে বলে আমরা রাজধানীর বাতাস ছেঁকে রং উৎপাদন করি।

 

গামছার ফেরিওয়ালা

 

ফিলিং স্টেশনের ভেতরে এক বৃদ্ধ বসে গামছা ভাঁজ করছেন। হালকা রঙের গামছার আধিক্য দেখে মনে হচ্ছে উজ্জ্বল, কটকটে রঙের গামছা ক্রেতাদের মনঃপূত নয়। বাঙালিরা সকলে টাওয়েলের ব্যবহার শেখেনি বলে গামছার ফেরিওয়ালা এখনও পথে পথে ঘোরে, কেউ পথের ধারে বসে স্বপ্ন দেখে। অবৈধ সম্পর্কের সাথে অবৈধ সম্পদের আদৌ কোনো যোগসূত্র রয়েছে কি না তা বুঝিয়ে দেবার জন্য মর্ফিয়াসকে স্বপ্নের সরঞ্জাম খুঁজতে হয় না। ফেরিওয়ালার স্বপ্নের বিশুদ্ধতা নিয়ে কোনো সংশয় নেই। কারণ তারা দরিদ্রের জমি কেড়ে নিয়ে রিজর্ট নির্মাণের পরিকল্পনা করে না।

 

পঞ্চ বি ডাল

 

সমাধিগহ্বর থেকে ল্যাজারাস ফিরে এসেছিল একথা ইউভল নোয়া হারারি কিংবা যুক্তিপ্রিয় কোনো ঐতিহাসিক বিশ্বাস করবেন না। পুনরুত্থানের কোনো সম্ভাবনা নেই। মৃত্যুর পর অদৃশ্য হয়ে ওঠে পঞ্চ বি ডাল। যে কয়েকটি শব্দ উচ্চারণ করেছি তা যদি ইথারে থেকে যায়, তারা ঘাসের পাতার তীক্ষ্ণতা কিংবা চালতা ফুলের গোপনীয়তাকে ছুঁতে পারে; পাহাড়ের নির্জন পথ অথবা নদী নামধেয় বালুপথের ঘূর্ণনের ভেতর আমার সামান্য কটি শব্দ একীভূত হতে পারে কেননা জনপদের ঔজ্জ্বল্য ও সরবতা থেকে দূরে থাকবার প্রশিক্ষণ শব্দরা ভুলে যেতে পারে না।

 

 


২টি মন্তব্য: