কবিতার কালিমাটি ১৩৬ |
নবীনকান্তির জন্য
এই শেষ বেলায় বাঁচা শেখাতে এল অচেনা সুর তাল…
চেঁচিয়ে চলেছে ফেরিওয়ালা, "বুরে দিন বেচেঙ্গে"
এদিকে জবা আর টগরের কুঁড়ি ঝরে যাচ্ছে রোজ
"বেচে কী হবে?" ঘাড় ট্যারা করে দাঁড়িয়ে
আছে
কয়েকটা অকাল মৃত্যুর জেদি পায়ের ছাপ।
শরীরের কোনো অঙ্গই সাধা হয় না বলে সুর বেরোয় না
রাত হলে তালি বাজিয়ে দ্বার বন্ধন করেন নাথবাবু
চোর আর অশরীরী তাড়াতে চেয়ে,
আমি আকাশের কপাট দুহাতে ফাঁক করে বেরিয়ে পড়ি ঐ
রাতেই
আমার তো রাতই সব।
নবীনকান্তি তোমায় আর কী কী বোঝাবো?
ভাল কথা
বলতে চাইছি ভাল কথা ভালবাসার কথাও হয়তো,
ভালবাসা প্রায়শই দেব-দেবীর মতো, সেই উঠোনে
এক নির্বিকল্প হাড়িকাঠ মুখ হাঁ করে খট খট করে হাসে
তাই বলছি নবীনকান্তি প্রদীপের ভুষোকালি মেখে
দেবী যে প্রসাধন সেরেছে সর্ব প্রথম প্রলেপে ছিল
উচ্ছ্বাস আর সততা।
তারপর…
এটা কোনো সোপ অপেরা নয় বন্ধুগণ
এত গল্পই বা কী কাজে আসবে
নদী যেমন পাড় ভাঙে আর কাঁদতে কাঁদতে
গ্রাম খায় বসত খায় আর হা হা করে বুক চাপড়ায়
ঐ হল ভালবাসা
এখন যদি নদী হয়ে ভেঙে পড়ি নবীনকান্তি সামলে নেবে?
নবীনকান্তির জন্য গল্প
আমিও তো গল্প বলতেই এসেছিলাম
আপেল বাগান থেকে তাড়া খাবার পর
লক্ষ করে দেখেছি আমার সর্পভয় শুরু হয়
দংশনের সময় অবশ্য ঘুমিয়ে ছিলাম
রাতের নিঝুমের মধ্যে বসে আমি চিরবিরহ যাপন করি
নবীনকান্তি
খুব পিপাসায় জল প্রপাতের খোঁজে আবার হাঁটতে শুরু
করি
যেমনই হোক বাঁকা অথবা ভাঙা অথবা খন্দময়
রাস্তা তো একটা থাকেই কোথাও
বড় প্রশ্ন এই যে সেই রাস্তায় তুমি কখনো সঙ্গ দিয়েছো
কিনা
ছোট প্রশ্ন এই যে আমি তোমায় বর্জন অথবা
গ্রহণ করার জমিটিতে এখনো আছি কিনা
এইমাত্র আগুন নিয়ে বলবে বলে মঞ্চে উঠে কবি
মেয়ানো গলায় একগ্লাস জলকেই নির্বাচন করলেন।
এই সব মজার মধ্যে থাকতে থাকতে মাইক্রোফোনগুলোও
খেলুড়ে হয়ে উঠেছে
এসময় তোমার এসব বিরহ বেদনা প্রায়ই দিক ভুল করছে।
কী যে মুস্কিল!
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন