কবিতার কালিমাটি ১৩৬ |
শিরোনামহীন
(১)
উপভোগ্য শীত রাতে কথা এলে কমে
বিছানাটা ভরে নিও অনুভূতির ওমে।
(২)
নিভে তো যাবেই জেনে তবু জ্বলে ওঠা
ঝরে যাবে জেনে-বুঝে তবু ফুল ফোটা
ব্যথা পাবে, তবু দেখো ভালোবাসে মন
এরই নাম পথচলা, এটাই জীবন।
(৩)
ঢেউ চাই, ঢেউ।
ঝড়-ঝাপটা, বিরুদ্ধ স্রোত
তবুও প্রদীপ জ্বালে কেউ!
দু'একটা সত্যি কথা
কালো প্রজাপতিটা লাল টুকটুকে ফুলে
ডানা ঝাপটায়... ডানা ঝাপটায়...
তারপর ফুলটা প্রজাপতি...
না! ...প্রজাপতিটাই ফুল হয়ে যায়।
কবিতাকে খুব যে আদর করতে হয়,
এতো যে আদর করতে হয় কবিতাকে
সেটা জেনেই মেঘেরা বৃষ্টি হয়ে ঝরে
ময়ূর পেখম তোলে।
ঘুমের ভিতরও একটা মন বেঁচে থাকে
রঙিন-রঙিন স্বপ্নের জাল বোনার জন্য।
কৃষ্ণসায়রের তীরে সেই যে তিতিরটা
এক পা দু'পা করে হাঁটত
বিকেলটা নিজের অজান্তেই সন্ধ্যা হয়ে যেত
জোনাকিরা আসত রাতের হিসেব দিতে
মনে আছে তো তোমার?
সারারাত সহবাসের পরে
ভোরের শিশিরে ভিজে ভিজে
যখন গাছের প্রতিটি ডালপালা
প্রতিটি ক্লোরোফিল, জাইলেম-ফ্লোয়েম
খুব ভালোবেসে ফেলে শিউলিটাকে
ঠিক তখনই টুপ করে ঝরে পড়ে সে।
গাছের বোবা কান্নাগুলো শিশিরের সঙ্গে মিশে
সম্পূর্ণ ভিজিয়ে দেয় শিউলিটাকে
তবু মন ভেজে না শিউলির।
গাছটা জানে শিউলি একদিন ঠিক
ছেড়ে যাবে তাকে, তবু পরদিন সন্ধ্যায়
আবার সে প্রেমে পড়ে।
অনেক ঠকেছি তবু
আজ এই পড়ন্ত বিকেলে
তুমি যদি ফিরে আসো
যদি তুমি সত্যিই ফিরে আসো
মনটাকে আমি শিকল দিয়ে বাঁধলেও
ও বলবে, এসো হিয়া... এসো হিয়া...
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন