কবিতার কালিমাটি ১২৭ |
হত্যাকাণ্ডের পাসপোর্ট শূন্যতার আশেপাশে
হত্যাকাণ্ডের পাসপোর্ট
শূন্যতার আশেপাশে
ছিটকে পড়ে ঘাতক আঘাত আহত
বিদ্যালয়
বিশ্বের আঁতুড়ঘর
প্রত্যূষে প্রদ্যোতের আতশ কাচ
শিরোনামে তৎকালিক মর্গে
আড়াআড়ি শবের নিকৃষ্ট ভূমিকা
দেখে যক্ষ তাহা
দেখে তপ্ত দূরত্ব
রেগে যাওয়া সরল পাইন বন
আর মাঝপথেই ডুব দেয়
পথের পাশে ধরাছোঁয়ার তুলসী চারা
চোখের পাশে নির্বাপিত শতেক
শ্রদ্ধা
আর নেমে আসে
কথা বলার শেষ পরীক্ষায়
এক ভাষণ টানাপোড়েনে
উথলে ওঠা পোড়া দুধ
সন্তানের পুষ্টিহীনতায়।
অকস্মাৎ সত্যি বলতে কি অকস্মাৎ
পুস্পস্তবক সহস্রবিধ
সে এক মূর্ছনা দিকচিহ্নরহিত
থেকে থেকে ছন্দ অস্ফুট জীবনে
অসমাপ্ত পাঞ্চজন্যের
আর এইসব সত্যি বলতে কি অকস্মাৎ...
শববাহকের প্রতিটি বাঁকের স্পষ্ট অস্পষ্ট পদছাপ হারানো
জলবিন্দুর বাষ্পীভবনে
অকস্মাৎ সত্যি বলতে কি অকস্মাৎ
মৈত্রীর পবিত্র হৃদয়
আর অবধারিতভাবে পুস্পস্তবক বিবিধ...
দিকশূন্যের সুর...
অস্ফুট সমাপ্তি মহাপ্রস্থানের...
হয়তো নবতরঙ্গের বিপ্লব, উৎসবের দিকে নয়
হয়তো রাজ্যজয় কিংবা অশ্বমেধ যজ্ঞের দিকে নয়
হয়তো ছুটে যায় কোন সৌরমণ্ডলীর দিকে
হয়তো সোনালী মূর্ছনায় মৈত্রীর হৃদয়ের দিকে
যাক, ছুটেই যাক দুরন্ত এক সাদা ঘোড়া।
গোলযোগ তড়িৎবর্তনীর
গোলযোগ তড়িৎবর্তনীর
অপারগ বার্তা গ্রহণে
আর চুপ সংকেত
তবু ক্রান্তীয় অঞ্চল
ক্লান্ত গবেট
আর নিয়মমাফিক
ফসলের গাঁথনি ক্রান্তিবৃত্তের শহরে
আর অসামান্য স্বাভাবিক স্ফীতি
ইতর প্রতিনিধির
তবু কেউ বিরত নয়
গণতান্ত্রিক লম্বা ফাজিল প্রহসনে।
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন