সোমবার, ১৭ এপ্রিল, ২০২৩

পঙ্কজকুমার চ্যাটার্জি

 

কবিতার কালিমাটি ১২৭


তোমার চোখে অবগাহন

 

অপরূপ রূপে তোমাকে সাজাতে চাই

এনেছি খুঁটে খুঁটে শিখিপুচ্ছের শত চোখ

প্রদীপের আলো, সদ্য ফোটা রামধনু

কীভাবে সাজাবো জানি না। তুমি বলে দিও

শুধু নিজেকে সাজাতে ভুলে যাবো আজ

বহুরূপী হয়ে পাইনি কদর কোনোখানে

তোমাকে সাজিয়ে হয়তো নিজেকে

খুঁজে পাবো তোমার চোখে

 

ঝরা আগুনের গান

 

সব ভুলেও তোমায় ভুলতে পারি না

ভুলতে পারি না প্রথম শীতের সূর্য

হাত ধরাধরি করে দেখা

 

একদিন মিছিলে পা মিলিয়েছিলাম

ময়দানে বসেছিলাম পাশাপাশি

ক্লান্ত মাথা রেখেছিলাম তোমার কোলে

 

কেমন করে এসরাজের তার ছিঁড়ে গেলো...

 

এত অবহেলা এত অভিমান এত অভিযোগ

তবু হৃদয়ের গান গুঞ্জরিয়া ওঠে-

তা কি আটকানো যায়?

 

মনে পড়ছে তোমার

আজ এই আগুনঝরা রাতে

সেই সব দিনের কথা?

 

চিরপবিত্র শব্দ জেগে থাকে

 

শব্দের পাঁচিল ডিঙোতে পারিনি

 

কারণ জীবনকে ভালোবাসি

ভালোবাসি ভালোবাসতে

 

নীরবতার মধ্যে শব্দময়তা খুঁজতে গিয়ে

এক বিকেল টপকে নেমেছি রাতের কুয়োর অন্ধকারে

সশব্দে হেসেছি

তারপর পেয়ে গেছি উত্তর

 

জীবনকে কখনো প্রশ্ন করতে পারিনি

পারিনি তার শব্দমঞ্জুষা শুনে শেষ করতে

জীবন নীরব হওয়ার প্রতীক্ষা

সরব রয়ে যাবো তবু...

মুখর নীরবতায়

 

শব্দের সাগরে অবগাহন করে পবিত্র হবো

 

লালন

 

মিথ্যা আশ্বাসে কতদিন ভোলাবে?

কোথায় লুকিয়ে রেখেছো মেঘ

এ ঘন বরষার মরুদ্বীপে

মেঘকে দিয়েছো সাগরঅভিমান

আকর্ণ বিস্তৃত হৃদয়পটে

 

সংকীর্ণ হৃদয়ে প্রেমের বন্ধ দ্বার

চারিদিকে বালি বালিয়াড়ি

নদী ডাকে না বাতাসকে

ছিঁড়ে দিতে নতুন পাল

আয়তচোখের আয়তন বাড়ে

দৃষ্টির ভাটায়

চরায় মরে পড়ে শকুন

 

সবাইকে হেঁচড়ে টেনে নিয়ে গেলে

ফিরিয়ে দাও এক কণা অশ্রুর

অশ্রুবীজ...

জানি দেবে না আর একটা লালন...

তবু, আর একটা লালন...

 

 

 

 


কোন মন্তব্য নেই:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন