কবিতার কালিমাটি ১২৬ |
দশ বছর
তখন অনায়াসে
মানুষকে বিশ্বাস করতাম।
এখন বিশ্বাসের
থেকে মানুষের দূরত্ব বেড়ে গেছে।
তখন স্বপ্ন
দেখতাম ঘুমের দেশে অনায়াসে।
এখন স্বপ্ন
আছে! কিন্তু ঘুম নেই। স্বপ্নরা কথা
রাখেনি। ঘুম
হারিয়ে গেছে হয়তো তার জন্য!
তখন সবাইকে
নিয়ে চলতাম। এখনও চলি। কিন্তু
জীবনের সঙ্গীরা
হারিয়ে যাচ্ছে। তাই একা লাগে খুব।
তখন বিশ্বাস
করতাম প্রেম মানুষকে মহান করে।
আর এখন! জেনেছি,
প্রেম মানুষকে স্বার্থপর করে
তোলে।
তখনও সকলের
ভালো চাইতাম!
ভালো কথা বলতাম।
এখনও তাই করি।
শুধু এখন নীলকণ্ঠ
আমি।
সব বিষ আমি
নিয়েছি। অমৃত উজাড় করে দিয়েছি।
তখনও ভালো থাকতে
জানতাম।
এখনও ভালো থাকতে
জানি।
যতিহীন ভাবে
ভালবাসতে জানি।
মেয়েটি
এ দেশ এ দেশ
আমার এ দেশ...
কিন্তু এ-দেশে
যে অনাচার, অজাচার চর্চিত হয় জানতো কি মেয়েটি?
সহজে বিশ্বাস
করা কিছু মানুষের জীবন ধর্ম।
প্রকৃতির মেয়ে,
জানতোই না অনাচার ও অবিশ্বাস কত সহজে করে মানুষ!
বিশ্বাস করো
ঠকবে না... বিশ্বাস কর মেয়ে, কত ভালোবাসি তোকে...
বোন, দিদি,
বন্ধু, কন্যা আমার!
তারপর আসে আদেশ-প্রত্যাদেশ।
বাটি ভেঙ্গে
যায় খান্ খান্ শব্দে।
দুটি শব্দ গড়িয়ে
যেতে থাকে নর্দমার দিকে।
বিশ্বাস আর
ভালোবাসা। বহু চর্চিত দুটি শব্দ। মাঝখানে শুধু শূন্যতা।
ইরেজার দিয়ে
মুছে দাও না কেউ শব্দ দুটোকে...
জন্মদিন
যত বয়স বাড়ে,
জন্মদিন যায় মৃত্যুদিনের কাছে!
তবুও তো অপেক্ষায়
থাকে সেই দিনটির জন্য
সকলে!
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন