শনিবার, ১৪ জানুয়ারী, ২০২৩

নিমাই জানা

 

কবিতার কালিমাটি ১২৫


বাইল্যাটারাল সেনাপতি ও জীবাশ্ম খন্ডকের তৃতীয় পরীক্ষিত

 

বাইল্যাটারাল ছায়ার কাছে কুশধ্বজ মাছেরাই অদ্ভুত পরাশক্তি নিয়ে মৃত্যু রঙের শ্মশান বন্ধুদের সাথে নিম্ন ব্যাবিলনের দিকে চলে গেল,

কবরের কাছে ধারালো পাঁজর উড়িয়ে দেয় রক্তাক্ত ক্রোমোজোমের অসুখগুলোকে মুখের ভেতর পোড়ানোর পর

এক তৃতীয়াংশের ৬ ডিগ্রির উষ্ণতম স্তন বৃন্তের কাছে দাহপত্রের ধান বীজ মেলানো আছে আমাকে দাহ করবে বলে , "জ" রঙের, বর্গমূলের নিচে দাঁড়ানো একটা অবৈধ সেনাপতি নরম আঙুল দিয়ে জীবাশ্ম অখণ্ড করছে আয়নার দিকে মুখ করে

সান্দীপনী ঋষি দৈর্ঘ্যের মানুষেরা আজ পাঁজর খোলা ভূমধ্য পাতাবাহার গাছের কাছে অবৈধ পরকীয়ার শীতকাল অসুখ মিলে দেয়

আমি শুধু ভৌতিক পরজন্মের জন্য ইট্রাকোনাজল খেয়ে নেই পেট ভর্তি করে রক্ত বমন উগরে দেওয়ার জন্য, পরীক্ষিত, মেঘনাদ, ছায়ানক্ষত্র, ইক্ষ্বাকু, ঋত সকলেই বসে বসে প্রবাল পাথরের মতো যজ্ঞস্থল রচনা করছে

মৃত মৃত পালকগুলো উড়ে যাচ্ছে এখনই উপবৃত্তাকার পাঁজর নিয়ে শুক্রস্খলনের কবিতা পড়বে বলে, একটা ঢালু বদ্বীপ আবহবিকার ভূমন্ডলের মানুষেরাই সারারাত অ্যালকোহলিক জোৎস্না খাচ্ছে তিনটি ধারালো অস্ত্র দিয়ে, নীল রসায়নাগারের কথা জানতেন শুক্রাচার্যের মতো ত্রিভুজ মানুষ

আমার পাঁজরের ভেতর থেকে বেরিয়ে আসা রক্তাক্ত নাভি আর হলদে রক্তের মতো পিপাসার্ত পাখিরা বিস্তীর্ণ দানপাত্রের উপর বসে ব্রহ্ম নাভি আবিষ্কার করছে,

আমি শীতল মানুষদের চতুর্ভুজ আঁকছি বাণপ্রস্তে চলে যাওয়া শুকদেব গোস্বামী ও একাদশ পরজন্ম পুরুষদের সাথে , চাঁদের বিবাগী ও নৈঋত কোণ বলে কিছু নেই

 

শিথিল মৃত্যুর বৈরাগ্যপুর ও কালিদহ চড়ার হাইমেন

 

মৃত্যুর মতো যাদের শরীরে শিথিল শীতকাল এসে আগুনের পরাশক্তি মিলে দেয় আমি তাদের মতো নীল অন্তঃক্ষরার আকাশ নিয়ে দাঁড়িয়ে থাকি মেঘনাদের মতো

আর কোনো যজ্ঞস্থল নেই নাভি কুণ্ড ছাড়া, এক হিমোগ্লোবিনহীন  সাপ পুড়ে যাওয়ার পর সব পান্ডু রোগের আদিম উপসর্গগুলো নিম পাতার নিচে জমিয়ে রাখে তাদের চরম আসক্তি আরো একবার শ্মশান ঘাটে নিয়ে যাবে বলে

কোন সেমিকোলন দৈর্ঘ্য নাবিকের কাছে ৩১ জোড়া নীল লাইসোজোমিক রক্তাক্ত পালকের নরম হাইমেন চিহ্ন নিয়ে একাকী নিঝুম অন্ধকারকে খন্ড খন্ড সঙ্গম করছে অদৃশ্য ছায়া শক্তির ভস্মীভূত পাথর দানা দিয়ে

রাতের নাভি বিন্দু নেই, রক্তাক্ত দাঁত নেই, দাঁতের মতো আর কোন গলনাঙ্ক পাচনতন্ত্র নেই, সারারাত সকলেই মৃত প্রত্যঙ্গ নিয়ে নদীর কাছে এসে অদ্ভুত বৈরাগ্যের চৈতন্যপুর হয়ে যাচ্ছে

আমি মৃত্যুর মতো আরও একটা কালিদহচড়া আবিষ্কার করে ফেলি দুই হাতে নপুংসক পরিচ্ছদ গায়ে নিয়ে,

আমার মৃত্যুর জন্য পালকময় সুদৃশ্য ১০৮টা পালক গজিয়ে উঠছে আমি ভগাঙ্কুর প্রদেশের দিকে যাচ্ছি ঘাতক ও কসাই নারীদের মতো

সমীকরণ বিছানার উপর ঐশ্বরিক দাঁতগুলো আমাকে নিহত করতে চাইছে বারবার, আমি শুধু বিছানার প্রতিটি দৈর্ঘ্য প্রস্থের পর আরো নপুংসক বিসর্গ চিহ্নের কাছে নীল ছত্রাক দাগের অশ্বক্ষুরাকৃতি রথচক্র মিলে রাখি নিমি বংশজাত রাজকন্যাদের পাশে, প্রাণায়াম যজ্ঞে মিলে দিচ্ছি তাদের পঞ্চদশ বাহুগুলো

রাত্রির কোন জরাসন্ধ সময় নেই , সকলেই জলধর ,  স্বর্গীয়া জল্পনা গোস্বামী নারীদের মতো সোডিয়াম ভাঙ্গা দাঁত নিয়ে আগুনের সাথে সহবাস করছে

 

স্ত্রীলিঙ্গ বিছানা ও  গর্ভবতী কৃষ্ণপ্রহরের যজ্ঞস্থল

 

মৈথুন শব্দের সব ব্রাহ্ম তন্ত্র গুলো আমি যজ্ঞস্থলে আহুতি করি লাল রঙের পালক ওয়ালা বৈষ্ণবী পুরুষেরা দৈবাৎ ক্যালেন্ডার ফলের ভেতর থেকে নীল দ্রাঘিমাংশওয়ালা কমলালেবুর ফল পেড়ে নেয় আদমের মতো ,  আমরা সবাই নীল রঙের গর্ভবতী হলাম

বিটা দৈর্ঘ্যের সায়ন্তন পুরুষদের মতো অসীম অক্ষাংশের ধনুর্ধর পুরুষেরা স্বরবৃত্তের ক্ষুধার্ত সাপেদের স্ত্রীলিঙ্গ বিছানার উপরে নীল নীল মায়াবী অচিন নক্ষত্রের তলপেটে ঢুকে যাচ্ছে

আমি সারারাত বাই সালফেটের মতো রক্তাক্ত লিম্ফোসাইটের দানাগুলো কবন্ধ বালকের সাথে পৃথিবীর অসুখ ভাগ করে নিচ্ছি সন্ন্যাস পাথরের নিচে লুকিয়ে থাকা রক্তকোষের স্থানাঙ্ক জ্যামিতির ক্ষুধার্ত হরিণদের সাথে মায়াবী ঋতুর বন্ধের কবিতা পড়বো বলে

আমি কেমন ধূসর হেমলক খাওয়া অদ্বৈত রতিচক্রের শ্রীহীন দ্রোনাচার্য হয়ে যাচ্ছি প্রতিদিন রাত্রি দুটো ৫৯ মিনিটে, একটা গর্ভবৃক্ষের নীলকান্ত সাপ কৃষ্ণপক্ষের বৈধব্য প্রহর পর্যন্ত অপেক্ষা করছে আমার জন্য

অদৃশ্য মৃত মৃত মাছের শিরদাঁড়ার কাছে অলৌকিক হরিণীদের মৃতজীবী চারাগাছ গুলো রোপন করি মৃত্যুকে ঠিক ধোঁয়া ওঠা রাত্রিকালীন অবৈধ অন্ধকার বলে মনে হয়

 

সেফোডক্সিন চারাগাছ ও অবৈধ জ্যামিতিক তৃণভোজী পাখি

 

মৃত্যুকে লুকানোর জন্য কিছু নিউমাইসিন রঙের একটা স্টেরয়েড দাঁত নিয়ে উলঙ্গ শরীর কামড়ে খাই , আমার শরীরে কোন হাইড্রোফোবিয়া নেই

আমি দুই হাতে রজনীগন্ধার স্ত্রীলিঙ্গ অসুখের ভিতর ঢুকে একটা ঘাতক পাখিকে নিয়ে আসি, জরায়ুশূন্য অন্ধকারের ভেতর আমি নিজের সুষুম্না শিরাপথে তীর গেঁথে তৃণভোজী পাখি হয়ে যাচ্ছি আগুন ভক্ষণের অপরা কথা নেই বলে,

একটি প্রতিবিম্বহহীন সাপ নিরাকার প্রত্ন শরীরকে কুরে কুরে খায়, আগুন কাউকে পোড়ালে সে ক্রমশ বিশুদ্ধ যৌনগন্ধীময় অক্ষয় বৃক্ষের পাতা হয়ে যায়, চন্দনের লাল পাতাগুলো ক্রমশ আগুনের সেরেবেলাম খাচ্ছে

বিষণ্ণতার আর কোন রক্তাক্ত খাদক নেই সারারাত রক্তমাংসের মৃত সেবিকা  সর্পিলাকার মাটির ফাটলের অবৈধ জ্যামিতিক গর্তের ভেতর ঢুকে ব্রহ্মপুত্রদের সাথে ১১.৫৭ বর্গ সেমির লালাভ শুক্রাশয় নিয়ে শীতল মাংস খণ্ডকগুলো কেবল ব্যবচ্ছেদ করছে

চতুর্থ স্তনবৃন্তের কুশধ্বজের মতো অক্ষাংশহীন নৌকায় গোলাপী বিষ দাঁতগুলো রেখে দিচ্ছে মৃত কোন বান্ধব জনপদ কৃষ্ণনগরে যাওয়ার আগে, ঈশ্বরী প্রতিদিন কুক্কুটাসনে বসে থাকার পর শীতল প্রহরের আগুন জ্বেলে দিচ্ছেন উপবৃত্তাকার মোমবাতি রঙের দ্রাব্যতায়, আমি বারবার নীল ব্রহ্মাণ্ডময় সেফোডোক্সিন খেতাম গর্ভপাত আয়ুর জন্য

 

 


1 টি মন্তব্য:

  1. কবিতার মধ্যে অর্থ ছাড়াও একটি সুর ধ্বনিত হয়। সেটাও মনে আলোরণ তোলে । তোমার কবিতায় আমি সেই সুরটি শুনি । এত বায়োমেডিক্যাল টার্ম কিছুই বুঝতে পারিনা। তুমি বোধহয় ডাক্তার

    উত্তরমুছুন