শনিবার, ১৪ জানুয়ারী, ২০২৩

পৌলমী ভট্টাচার্য

 

কবিতার কালিমাটি ১২৫


আহত অক্ষর

 

মোনালিসা, ১'বার বেহালায়

হাত রেখে বলো

কী করে দুঃখ কে বিপদসীমার

বাইরে রাখলে!

 

সহস্র হাসির মাঝে

ঐণিক লুঠ করেছিল

গুপ্তধন, যা ঠোঁট বিভাজিকার

আশ্রয়ে ছিল, আর

পাহারায় অ-মিশুকে বাস্তব

 

যে রুটিন মাফিক

লুটেরাকে ধন্যবাদ জানিয়েছে

 

আহত অক্ষরগুলো ঘষা খেতে খেতে

নির্জীব হ'লে

ঠোঁটের গোলায় মজুত হয়

শূন্যের প্রাজ্ঞ রূপ

 

আমি এক অর্বাচীন ভেক

তাই ব্যথা সংলগ্ন দেওয়ালের

ওপার চিনতে চাই না

 

গোত্র ছাড়ি আগুনে

 

এসো মোহ

একবার তোমার বুকে স্টেথো বসাই

স্বত্ত্বাকে সেবা করি

 

এসো মোহ

তোমায় গীতা শোনাই

আবেগ তো পোশাক মাত্র

 

আমি গোত্র ছেড়েছি আগুনে...

আকুল হয়ে বলি

ওগো, বায়না কেন করো

আমি তার জন্য তিলক বসিয়েছি কপালে

আমি মায়ের থেকে দশমাস দশদিন

ঋণ গুছিয়েছি তাকে

সংসারী বলব ব'লে

 

এসো মোহ

আসন গোটাও

চলো, দীক্ষিত হও ভালোবাসার ছাউনিতে

আমার কোলে সম্প্রদান করছে

অনুভব প্রেমকে রোগহীন করার আশায়

 

চিঠি

 

অনেক কিছু বলার মাঝে সংশোধিত বাক্যগুলো বলে যাই, চোখ রেখো সেখানে...

তোমাকে চেনার চেয়েও

পারিপার্শ্বিক বাচিক স্বত্ত্বাকে

চিনলাম ধাক্কা খেয়ে

 

মনে হয়  প্রোমোটারি রোগ বাসা বেঁধেছে

আপাদমস্তক তোমাতে

ভাবছি, অসুখ নামে ডাকব তোমায়

ভেবেছি, তোমার চোখের জ্বলন হয়ে

নিরুদ্দেশ হবো;  হুলিয়া জারি করবে

বাধ্যতামূলক কোটায় প্রিয় ছোঁয়াছে শব্দকে নিয়ে

 

আমার নামের ওপর চন্দ্রবিন্দু দেখলে

যাবতীয় দুবিধা দ্রবীভূত হবে

তোমার এডিটোরিয়াল নোটে

লাইমলাইটে থেকো যেন...


কোন মন্তব্য নেই:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন