কবিতার কালিমাটি ১২৫ |
চাঁদের ছলনা
চাঁদের প্রতি
অসম্ভব টান মানুষটির!
পাখিদের কাছে
বন্ধুত্বের অনুরোধ পাঠায় সে। হাল ছেড়ে দেয় না সহজে। অপেক্ষা, ক্ষুদ্র থেকে বৃহত্তর
আন্দোলনের পথে হাঁটতে শুরু করে। কিন্ত চাঁদের
স্পর্শ ছাড়া
জীবন যেন অন্ধকার তার।
আকাশের নীল
সুর তাকে কি এক আবেগে জড়িয়ে
ধরে। চাঁদের
কাছে যাওয়ার জন্য দুহাত বাড়িয়ে দেয়। কিন্ত, বারবার হেরে যায়। জলের কান্না তাকে
আকর্ষণ করে নিয়ে যায় উৎসের দিকে! নদীতে চাঁদের ছায়া দেখে সে অদ্ভুত এক সুরে মোহিত
হয়ে পড়ে। তারপর...
অন্ধকার থেকে
আলোর দিকে যাত্রার পথে সে এতো বেশি মোহিত ছিল যে, সে ভুলেই গিয়েছিল
নদী তাকে কখনও
সাঁতার শেখায়নি! শুধু চাঁদকে
তার কাছে এনে
দিয়েছিল। আর, সে শুধু বিশ্বাস করেছিল।
শান্তির সহাবস্থান
সমস্ত সহবাস
ছিঁড়ে ফেলার পর চলে যাবো নদীর তীরে। সেখানেই ভাসিয়ে দেবো শব! তারপর নিজের আত্মার
শান্তির জন্য শ্রাদ্ধ সম্পন্ন করবো! ওঁম শান্তি!
শীতের হাহাকার
পড়ে আছে বিধ্বস্ত
বরফে ঢাকা মৃতদেহগুলো। কোথাও কুটির পুড়ে গেছে অল্প ওমের জন্য
জ্বালানো সর্বগ্রাসী
আগুনে। শীতকালে আরামের জন্য কি কবি বারবার আহ্বান করেছেন...
শীতকাল কবে
আসবে সূর্পণা? না... তিনি তিনমাস শান্তির ঘুম ঘুমাতে চেয়েছিলেন।
কবি এই জীবনের
চিতা দেখলে শান্তিতে ঘুমাতে পারবেন না। বিষাদের ফুল শুধু রক্তশূন্য
সাদা আর হিম
মৃত্যুকেই ডেকে আনে। হে শীত... তুমি তিনমাস কেন পাঁচমাসের জন্য
এসো কিন্তু
সাথে কিছু রোদ নিয়েও এসো। তাহলে হয়তো এত মৃত্যুর মিছিল দেখতে হবে না। কবিও নিশ্চিন্তে ঘুমোতে পারবেন।
অল্প ওমের জন্য
দেখো জ্বলে গেছে কত শান্তির কুটির... সাদা
হিম মৃতদেহগুলো পায় না তবুও আগুনের ছোঁয়া...
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন