কালিমাটির ঝুরোগল্প ১১৫ |
...এবং উপমন্যু
ছিটকে
বেরিয়ে আসাটা যেন অবধারিত ছিল না। এই মাঘ-শীতে লবণাক্ত শিশিরের মত শ্বেত বিন্দুরও
কি? ...এবং উপমন্যু ঘাম মুছে রুমালের দিকে তাকিয়ে রইল। এ প্রশ্ন এক টুকরো কাপড়ে ঢাকা
পড়ার নয়। ঘাম তো কোন সাক্ষী নয়। কিন্ত এ তার বহুদিনের একনিষ্ঠ পরিকল্পনা। শুভমিতা
যেখানে শুয়ে আছে সেখানে অবাধ ঘুম এখন ভাঙাবার কেউ নেই। কালো আর খয়েরি ঘুমের প্রহরী
বৃত্তেরা, যারা স্বপ্নের ফেরি করে, ফিরে গেছে ঘরে। তাদের প্রয়োজন শেষ। স্বপ্নের জন্ম
কেন হয় এ তার দীর্ঘ দিনের প্রশ্ন। উত্তর পায়নি।
শুভমিতার ঘুমে আকাঙ্ক্ষারা জাগবে না কোনদিনও আর!
...এবং উপমন্যু বিশ্বাস করে জেগে থাকলে রূপ কখনো সম্পূর্ণতা পায় না। সে তখন পৃথিবীর পিচ্ছিল আসরে একদিন নর্তকী হয়ে যায়। শুভমিতা কেবল আমার ... আমার পূর্ণতা। তাই তাকে ঘুম পাড়িয়েছি।
...এবং উপমন্যুর বাবা ব্যালকনিতে দাঁড়িয়ে মোবাইল হাতে কিসের অপেক্ষায় যেন উদ্বিগ্ন। তার মা এসে বলতে গেল, “চল বাবা, ঘরে চল!” পারলো না। তার ভাঙনের শব্দ ছাপিয়ে আ্যম্বুলেন্স এল।
দোতলার
জানলায় তখন দুটি কুয়াশা চোখে নিঃশব্দতা...
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন