কবিতার কালিমাটি ১২৫ |
ঘন কাদায় গান গাইছে
এই শব্দগুলি
অনেক সহানুভূতিশীল মেরামতের সরঞ্জামগুলির সাথে খেলা করে। আবার নাক ডাকতে ঘুম ভাঙল।
কেউ তিল বা সরিষার বীজের মতো সূক্ষ্ম কিছু দেখে। কিছুক্ষণ বাইরে চুপচাপ বসে থাকার পর,
দু’চারটি তালিকা তৈরি করা হয়েছিল, মূলত অর্ধ-মৃত
রাশিচক্রকে চমকে দেওয়ার জন্য। অফিস থেকে বাড়ি ফেরার পথে প্রতিদিনই কিছু না কিছু বিশৃঙ্খল
দৃশ্য দেখা যায়। এই রেকর্ডগুলি থেকে গভীর অনুরণন সহ বেশ কয়েকটি রেডিও তরঙ্গ বেরিয়ে
আসে। তার বৃত্তাকার কোটর বেরিয়ে পড়ে হ্যাঁ সর্বস্ব। পানার উপর চকমকি রোদ, জলঢোঁড়া ল্যাজ
বিছিয়ে দ্যায়। ঘন ত্রিপলে বৃষ্টিরা ঝরে গিয়ে দুই আঙুলে বিড়ির গন্ধ নিয়ে ঠেলাঠেলি ভাঙা
রাস্তায় নেমে যায়। কব্জি থেকে ফুসকুড়ি বেরিয়ে পড়ে। ফুসকুড়ি সম্পর্কে আমার অসংখ্য অভিযোগ
রয়েছে, যেমন ক্লান্ত হয়ে বিছানায় জেগে থাকা; এই গভীর প্রতিফলনটি শুকনো জিভের মতো
দেখায়। তবে কখনও কখনও ভাল নৈকট্যই একমাত্র পুরস্কার হয়ে আসে। তাই বছরের শেষ নাগাদ
আমি আমার হাতে ফোস্কা দেখতে পাই। লক্ষ্য করুন কিভাবে অন্ধকার মুখ কুয়াশায় ঢেকে আছে,
মঞ্চসজ্জা নিয়ে একটি যান্ত্রিক কৌশল যা উচ্চতা এবং অন্ধকারের উপর জোর দেয়। সময়ের
সাথে সাথে এই বাহু এবং এর শত শত প্যারামিটারের বৈপরীত্য আমাকে কিছু শিখিয়েছে। এই সাদা
কাগজ ব্যবহার করা স্বাভাবিক। যদিও কিছু অদ্ভুত শক্তি সবসময় এই সাদা জ্বলন্ত জ্ঞান
থেকে রক্ত চুষে নেয়। মনে হচ্ছে খাঁটি সাদা ছাড়া আর কিছুই হতে পারে না। এ প্রদেশের
সাদা পাতাগুলো না লিখলে ভরে যায়, নয়তো অসম্পূর্ণ থেকে যায়। যেখানে কয়েকটি ছাই উড়ে
যায়, ধান বীজ উড়ে যায়, কি মাছ এবং সমৃদ্ধ গাছপালা পাতারাও উড়ে যায়। মনে হয় হয়তো
এখান থেকেই এই ভেজা পুকুর উড়তে শুরু করবে। চিরন্তন আবহাওয়া থেকে এই পথের সমস্ত বৈচিত্র্য
অন্বেষণ করি। ধীরে ধীরে মাটি থেকে পুরাতনকে সরিয়ে নতুনকে উঠে আসতে দেখি। তবে ঔপনিবেশিক
তিক্ত তথ্য ছাড়া আমাদের কর্তব্য এবং কৌতূহলের কোন অপচয় হয় না। ঘন কাদায় গান গাইছে।
কোথায় মন গেঁথে রয়, চৌহদ্দির ভেতর শালিক শালিক একটু উড়াল, পালক থেকে ঝরা রেণু শুভ্রতা
কুড়িয়ে নেয়।
মনে মনে রাখা
মনে মনে রাখা,
আঁখিজল ধুয়ে রাখা- স্বর বৈচিত্র্য বজ্রধ্বনির
শূন্য পূরণ
করে যন্ত্রানুসঙ্গ, উচ্চাঙ্গে কতো
ঐকতান মৌনতা
ছুঁয়ে যাচ্ছে- বিদ্রূপ স্বতন্ত্র জেগে ওঠে,
কে কার দিকে
চেয়ে আছে সুউচ্চ মিনারে-
হ্রস্ব শ্রুতির
মর্মর, ধ্যান থেকে অভিসৃতি থেকে অত্যধিক
ঘুম থেকে কড়া
নাড়ে; সমূহ অধিবিদ্যক নিরুত্তর রাত্রি দুপুর-
বিলোল ছোঁওয়াটুকু।
কোত্থেকে বৃষ্টি এসে গুঞ্জন ভরে,
দুঃখ পেলে ভালবাসা
অনন্য সম্প্রীতি-
অযুত গান ফুরিয়ে
যায়; ধরেছ ম্যাজিক লন্ঠন...
অকম্প্র মহড়া
আলাদীনের বাক্সে
বিজ্ঞাপন আর দুর্দান্ত আলপিন,
কবিতা লেখার
আগে নজর কাড়তে হয়- এই সেই পারফিউম।
এক সম্পাদক
টেবিলের।
লেমন অরেঞ্জ
পিচফলের কাউন্টার, পুরোটা অধরা মাধুরী-
কোনটা যে সিগনাল
কোনটা যে মরকত মণি বোঝা যাচ্ছে না।
বিপণনে অকম্প্র
মহড়া, যাচ্ছে সব-ই…
পরিস্থিতি বদলে যাচ্ছে
পরিস্থিতি বদলে
যাচ্ছে। এইদিকে শূন্য মাড়িয়ে আসছে রাখালি
দেখিতে দেখিতে
বেলা চলিয়া গেলো
কার প্রেমে
আমি। কার প্রেমে তুমি-
এরপর কিছু গুছিয়ে;
কিছু অগোছালো-বাঘের ছাল নিয়া টানি
এইসব দম নিয়ে
আরও প্রত্নঘুড়ি উড়ে আসে;
বুঝি অদ্ভুত
ব্যাঙগাছির শিহরণ - মৃত কুয়ায় জীবন…
রক্তপিণ্ড
অনভিপ্রেত ক্ষমতার
রশ্মি টানা মৌলিক ঝোপ জংলায়
প্রকাশিত বিতর্কের
সংক্ষেপ পড়ে আছে
গলা পূরণ করে
পিপাসা
আগ্নেয় তরল।
শতভাগ প্রোটিন
খণ্ড খণ্ড সিলেবাস
দুর্গন্ধ ছড়াচ্ছে। উন্মাদ
দশ মাথা ঘুরে
প্রতিদিন। যুদ্ধে যাচ্ছে
দেখা দুর্ভোগ।
শব্দকোষ অনুসরণ করে
নেকড়ে খাবার
তুলে নেয় রক্তপিণ্ডে।
শান্ত প্রলেপ
আমি হাসাতে
পারছি। কারণ আমার হাসতে হচ্ছে। অস্ত্রোপচার হতে আমার কবন্ধ শরীর জেগে উঠছে এখুনি। আমি
নিশ্চিত করেছি সমুদ্র পৃষ্ঠাগুলি। নটিক্যাল মাইল জুড়ে এই তোমার একচ্ছত্র সম্পদ। বহুটুকরো
সেতু সীমানা ছাড়ায় দ্রাক্ষার গভীরে। যে স্থানে রক্ত দূষণ দুর্ঘটনা থেকে দূরে থাকে।
শিরা ছিঁড়ে যে গল্পের ঘোড়া দৌড়ে তার কাছে এই হাসি এক আঁজলা পানি। হাসির কোনও বুক পিঠ
থাকেনা তাই তোমার টেরিটোরিয়াল হাসিও বড় শান্ত প্রলেপ হয়ে ওঠে...
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন