কবিতার কালিমাটি ১২৩ |
সাতটি তারা খসে কর্দমাক্ত
সেইসব অবাক
জলপানের দিনে, সমস্ত শোনা-জানা শব্দকে ব্যবচ্ছেদ করে দেখার সময়
যে খেলায় নেমেছিলাম,
তার আগে প্রায়শই মেয়েদের বলা হয়
--ছিঁড়ে ফ্যালো পায়ের
নূপুর...
আমি তাই সিঁড়ির
পথে খুলে রেখেছি ধ্বনি যেহেতু মমতাভাঁজের নিজস্ব কোনো বসন্তরোগ নেই
যারা সেই গেমে
সামনের সারি, রিবন রেওয়াজে শিথিল করেছে আঙুল
তারা কার্নিভালের
মূখ্য স্বজন
কিন্তু আমার
পায়ের গাঁটগুলো বিলের জলে ডুবে
শাপলা খোঁজে,
শাপলা টানে
তারপর হারিয়ে
যায় জলের তলায়। বিলের জল আসলে সাতটি তারা খসে কর্দমাক্ত
এখন সেসব অনুৎপাদক
দিনে শালুক আমার রোদবালিশের জন্মদিন আঁকছে শিশিরে
টোটোর পিছনের
অবস্থানটিতে বসে আমি দেখছি চার্জিং পয়েন্ট
চার্জের জন্য
এক কদম এগিয়ে যেসব নরম হাতের তালু
কিন্তু, ভাগের
বিড়ম্বনায় পাদানি ছোট হতে হতে
আমার মুঠোর
মশাল ভুলেছে কেরোসিন
ম্যারাথন
বৃষ্টি ও জল
জমার নাব্যতায় এঁটে থাকে হাঁটাচলার প্রশ্নগুলো
এখানে পায়ের
পাতার আলাদা চেহারা নেই
চাতাল পেরিয়ে
শুধু ম্যারাথন দৌড়
অথবা থেমে যাবে
মাঝরাতে, রাত যেহেতু আমাদের হল্টিং স্টেশন
পুকুরের ঘাট
রেফার করবে মাটির সিমেট্রি, আর
হাইপার চাঁদ,
কলার টিউন -- কমপ্লিট একটা স্ট্রেঞ্জার ফেলোশিপ বাহিত
সকালগুলো এমন
এক বিরহহীন ডোরবেল
যেন নূপুরের
ইচ্ছের মতো অতিথি আসে, রেঁধে দিই অস্থিসন্ধির শিরোনাম
তারপর তাকে
শোনাই মায়ের রিভার্স লেনের পাঁচালি
কিন্তু জবার
পরাগে এমন মাতৃসুলভ যন্ত্রণা
যেন একটি রাত
শেষ করে ফোটে মৃত্যুর মায়ায়
আজ এমন এক বৃষ্টির
পান্না রং দেখে
নদীর গায়ে ভেসে
উঠছে কোথাও নাব্যফুল। দৌড় দেখে মনে হয় আমার
বিজয়ী ভব
-- নেই আর কিছু।
পুজারি
সন্ধের পুজারি
চাহিদায় একটাই
শব্দ বসিয়ে ভাঁজ করে রাখে দুহাত
সেই যুগল অক্ষরে
'যেন' এমন একটি তরঙ্গ যাকে প্রতিদিন
আকাশের দিকে
উড়িয়ে দিয়ে আহ্বান করা হয় স্বর্গীয় পাথর
ছায়া নামে প্রদীপের
নীচে
ছায়া, অন্ধকারের
পিতা
আর তাকেই আবহে
রেখে বাতাস বেড়ে দিচ্ছে আজ অ্যাম্বুলেন্সের আর্ত চিৎকার
ভবিষ্যতে মুড়ি
খাওয়া বাটিটার জন্য এক এককদম এগিয়ে যাওয়া মায়ের আঁচল
ফিরে এসে খই
চিহ্নের সংশয়কে দুমড়ে মুচড়ে
খুলে ফেলে আলমারি
আর ফ্যামেলি অ্যালবাম
এ এক অতীত অ্যালবাম।
যিনি ফাঁস দিয়ে রেখেছেন এ যেন তার হোগলাবনের উৎসব
সে নাভিপোড়া
গন্ধ চিনে নিশ্চিত কোনো শপথ করেই
পুঁতে দেবেন
মঙ্গলগাছ
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন