কবিতার কালিমাটি ১২৩ |
দানায় দানায়
যেখানে জানালা
মা থাকে,
কিংবা মায়ের পাশে পাশেই জানালা
দেখার রেখার লেখার
অক্ষরশব্দ জড়িয়ে আছে তাদের ডালপালায়
ঋতুমুখর পাখি, তাদের অনিন্দ্য গীতিলেখা,
সম্ভ্রমী পাহাড়ের সাবলিমিটি
বেনিআসহকলাল্যান্ডস্কেপ
মায়ের চোখ বিঁধে যায়
বাসমতি গোবিন্দভোগ জানে
জানালার বাতাস কত স্মৃতিমুখরা
কিশোরী দেওয়ানেওয়ামন
বাতাসে পুরো নতুন।
যে সন্ধি হয়েছিল তার
বিচ্ছেদ হয়নি
জড়িয়ে থাকা অক্ষরশব্দের
নিগুঢ় নিহিত থেকে মা
অনুভব লেখে।
সবকিছু বদলে যায়
সব পাখি সব গান…
মা যন্ত্রণা লেখে
যন্ত্রণা ফুটে ওঠে
গোবিন্দভোগ চালের
দানায় দানায়…
ডানায় ডানায়
ডেকো না
পালকে টান পড়বে, নেশা দিও না
মেঠো কথা পড়িও না বাতাসকাটা ডানাকে
দোলাচল দিও না,
কথামুকুলের আলপনায়
নক্ষত্রের মহাজাগতিক কিরণ খুঁজতে খুঁজতে
হয়তো সারাটা বেঁচেথাকা সার্থক হবে ওর।
কোনো মুকুট যেন ওর কপাল
কালসিটের দাগে দাগিয়ে না দেয়
সঠিক নামতা পড়তে পড়তে যারা
সারি দিয়ে নিখুঁৎ চলেছে
তাদের কোনো জানেমন নেই
মেটাল্ড রোডে ঘেরা তাদের অআকখ
স্বপ্নে তাদের কোনো যন্ত্রণা নেই
বালির বর্ণ তারা চেনে না
মনুর সুপুত্রেরা ঝড়ের সারেগামা বোঝে না…
মেঘে মেঘে
মেঘে মেঘে বেলাশেষের গল্প
গল্প জটিল হলে
ঠোকাঠুকি লেগে যায়
পূর্বমেঘ-উত্তরমেঘে
একদিকে রাগী বজ্র
অন্যদিকে ঝরঝর অশ্রুবাহিনী,
পুড়িয়ে ভাসিয়ে দিয়ে, নিপুণ বিন্যাসে
ফেরি করে আনমোল মৃত্যুকাহিনী
দূঃখী পৃথিবী জানে মাটি জানে
অজাচারি মেঘেদের দুর্বিনীত ঠোক্কর
বর্ণে বর্ণে লেখে
ক্রমশ ফুরিয়ে আসা তাবৎ জীবনের
নাভিশ্বাসের অক্ষর…
অপূর্ব, মুগ্ধ হলাম
উত্তরমুছুন