কবিতার কালিমাটি ১২৩ |
পথিক
যাপনের ভাগ
নিতে তার, এগিয়ে আসেনি কেউ
এমন বৃষ্টিহীন
— ফাঁকা পাড়াটির মতো নিরুত্তর
এ সময় পড়ে আছে,
হাত পাতা, জলের ভিক্ষায়;
সমস্ত পড়শি
ঘরে দরজা বন্ধ আজ, দেখ।
ভুলে যাও কস্তুরী
মৃগ — এসব দীর্ঘ পথ হেঁটে
যেভাবে দাঁড়ালে
এসে শূন্য কপর্দক
তোমায় কি ছায়া
দেব? মায়া? সন্তর্পণে
কানে কানে বলে
দেব অতীত প্রিয়ডাক?
এখনও যে কটা
দিন বেঁচে আছে গৃহস্থ কল্যাণ
ফিরে যাও —
এ ভরদুপুর — মুখে দাও দু’এক গরাস।
আভাস
পরিত্যক্ত সেতুটির
মতো সে-ও যেন বহুকাল পড়ে আছে,
সুড়ঙ্গ গর্ভ
থেকে ছিটকে বেরিয়ে এল ট্রেন
কৃষ্ণবর্ণ গায়ে
তার শ্যাওলার বসত বেড়ে ওঠে।
পুরনো মানুষের
মতো ছেড়ে গেছে সমস্ত স্টেশন
সরে সরে গেছে
সব ভূমিরূপ কী ভীষণ দ্রুত;
আলো নেই, শব্দ
নেই, নেই কোন দেবীর বোধন
সে শুধু ডাক
দেয় — প্রাঙ্গণ জেগে থাকে ফাঁকা।
অদূরে নদীর
পারে, অনাদরে ফুটল যত কাশ
তার কাছে সেটুকুই
— ধরে নেয়, এবার উৎসব।
অসাধ্য তোমার কাছাকাছি
যে তুমি শাবকের
মতো হৃদয়ে পুষেছ মেঘ
এক হাত রেখেছ
ধুলোয়, অন্য হাতে জল;
আলোদেশ ঘুরে
এলে প্রতিটা মরসুমে।
কাঙ্ক্ষিত ছিল
না, তবুও, অকাল নিম্নচাপ—
শিশুর মতন কী
সহজ ঠান্ডা লাগা ধাঁচ
তোমায় পাওয়ার
লোভে জ্বরেরা উত্তাপ বুকে রাখে।
উড়ে যাও—বাতাস
মণ্ডল চষা একাকী পাখির
ডানা মেল, দেখ
সমস্ত ভিড় বিন্দুবৎ—
কলরব, সূচাগ্র
মাটির রাজে সমস্ত অভিশাপ
অবশ পড়ে আছে
নীচে; তোমায় ছোঁবে না কেউ
তাবৎ জরার কাছে
ধান-দুব্বোর আড়াল রাখা আছে।
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন