কবিতার কালিমাটি ১২০ |
সম্ভোগার্থে
তাপের শাপমোচনের
জন্য
উদ্দেশ্যকে
বিধেয় করে আমার দোরগোড়ায়
রাখা থাক একটি
মিলি গাছ
তার পোষাকনামা,
কাঁটায় অন্যমনস্ক হলে
দাঁড়িয়ে পড়ুক
দিনের শুভেচ্ছা
কিন্তু সেসব
বার্তায়
কুয়োর ভঙ্গিমায়
বসে থাকেন সাদাটে শুকতারা
মনে হয় যেন
কাটা ঘুড়ির বিদ্রূপে
ফিরে আসবে পূবালী
ঘটনার অবশেষ
আমাদের দীর্ঘশ্বাসের
জনক
তার প্রতি তীব্র
আকর্ষণে এবার বর্ষিত হোক
বৃষ্টির একটি
সম্ভোগ রাত
মুভমেন্ট
জামদানীর প্রতিভায়
ফুলের একশো আশি ডিগ্রির মুভমেন্ট
তোমার সমর্থনেই
পরিহিতার বিভঙ্গ থেকে
ঠিকানা পায়
বসুন্ধরা
ওখানে খসে পড়া
দৃশ্যাতীত গভীর সুড়ঙ্গ
ওখানে পাথর
মাড়ানোর ঘুম ভাঙে আফিমের উপাধিতে
সৌন্দর্যের
পিপাসা
---এইটুকু তার ভরকেন্দ্র
ঝিঁঝিঁর গণতন্ত্রে
শুয়ে থাকা এমন তৃপ্তির প্রহরী
সমগ্র মোহের
বালুচরে বাজান কাঁসর-ঘন্টা
ঘুম আসে, ঘুমের
গায়ে যেন জলহাওয়া
আর ফুলের আঁচলে
লুকিয়ে, গতদিনের নাভিপোড়া দাগ
দাম্পত্য
একটা লিংক পেনের
মিসিং কল
টিকটিকির পায়ে
ভর হয়ে ওঠামাত্র মাথাটি যায় ভ্রমণে
ঝেড়ে ফেলে হারানো
জাবপাত্রের
রজকিনী দায়পত্র
দেখি, কুচোনো
শব্দের লাফানদড়ি খেলা
জিভের সিক্রেট
লোভ
হেঁটে চলেছে
চরিত্রের সদ্য প্রয়াত ছায়াসঙ্গীকে নিয়ে
তবু একচিলতে
স্মিত ঠোঁট, উল্লাসের কেমিস্ট্রি
আর প্রদর্শনের
লাবণ্য পেরিয়ে
জমজমাট দাম্পত্য
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন