কবিতার কালিমাটি ১২০ |
ভিত
জীবনের ভিত
সব রাস্তা সমান্তরাল, বোকা বোকা...
বোবাঘর তবু
কী অদ্ভুত বাঙ্ময়!
গৃহসুখে ন্যাতাকানি
তারও আছন্ন হাতছানি,
চোখে দেখাও
নেশা একরকমের।
কে যেন বোঝায়
পাকাপোক্ত ঘর নেই,
তুচ্ছ সঞ্চয়,
দুঃখও নেই কাছাকাছি
ততক্ষণে
অজরস, পঞ্চব্যঞ্জনের
স্বাদুতা বুঝে গেছি।
বাহুল্য বলতে
গল্প-বলা কাঠের চেয়া্র
ঘূণবর্জিত চিরটাকাল...
উদয় ও অস্তের মাঝে
কেউ তো আছে,
কেউ তো আছেই-
দূরত্বেই থেমে
আছে
জর্জরিত রাস্তা
হয়ে সমস্ত পদচিহ্ন আমার গিলে ফেলে
এবং আমি
হয়তো এভাবেই
উদয় ও অস্তের মাঝে
ঊষর আগুনে পুড়ছি
উৎফুল্ল হয়েও
হতে পারছি না
ওষ্ঠের ভিতর
দমবন্ধ সূঁচ
বুকের ভিতর
জীবন্ত কীট
নিয়নও পোড়াচ্ছে
প্রতিপক্ষ যেন
চ্যালাকাঠ
একটা দু'টো
করে গুঁজে দিয়ে যাচ্ছে মাঝে মাঝে...
জলভেজা স্মৃতি
বৃষ্টিতে ঠান্ডা
হয়ে আসে ব্যালকনি
মুঠোর কৃষ্ণতাপ
ছড়িয়ে যাচ্ছে
ঠান্ডা ইথারে
শরী্রে শান্ত
প্রকৃতি এখন
তবু
এমন বৃষ্টিদিনে
ফেলে আসা স্মৃতি শুধু
বিষাদ সংক্রমণ
ঘটায়।
একটুও জলভেজা
বেশি তুলে আনা যায় না
মনের কাছে
শব্দের কাছে
স্মৃতি সততই
পোড়ায়
বুক ঠুকে, কপাল
ফুঁড়ে উঠে দাঁড়ায় মিহি জ্বালাতন!
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন