কালিমাটির ঝুরোগল্প ১১০ |
এক চুটকি সিন্দুর
জীমূতবাহন বলল, বাঁশের বাড়ি খেয়ে লোকটা বোধহয় অজ্ঞান হয়ে গেছে। কেউ ওর গায়ে বা খাঁড়ায় হাত দিসনি, আমি থানায় ফোন করছি, ইনচার্জটা আমার চেনা। শ্যামসুন্দর, তুই ভবতারিণীকে নিয়ে গিয়ে কোথাও বসা, জল খেতে দে, আমার ঘরে স্কচ আছে। ভবতারিণী তখনও কাঁপছিল, বলল, না, আমি তোমাদের ছেড়ে কোথাও গিয়ে বসব না, আরেকটু হলেই আমার মাথা কেটে নিতো লোকটা, কে জানে এখানকার কোনো কাপালিক কি না, বাঘের মাংসখোর লোকজন!
ভবতারিণী আর শঙ্খমালা, তোমরা দুজনে সিঁথিতে সিঁদুর পরে নাও, নয়তো পুলিশ এসে নানা প্রশ্ন করলে মুখ দিয়ে বেফাঁস কথা বেরিয়ে যেতে পারে। জানতে চাইলে বলব শঙ্খমালা শ্যামসুন্দরের স্ত্রী আর ভবতারিণী অমিতবিক্রমের। যদি জানতে চায় তবে। সেফসাইডে থাকাই ভালো। শ্যামসুন্দর দৌড়ে মন্দিরে ঢুকে তর্জনী-বুড়োআঙুলে সিঁদুর তুলে এনে ওদের দুজনের সিঁথিতেই লাগিয়ে দিলো।
ওর কারবার দেখে শঙ্খমালা এরকম পরিস্হিতিতেও বলে উঠলো, এটা বেশ, এক ছাঁদনাতলায় দুজনকে বিয়ে করা; বাংলা সিরিয়ালে দেখি সিঁদুর পরানো মানেই বিয়ে।
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন