শনিবার, ১৩ আগস্ট, ২০২২

ঋভু চট্টোপাধ্যায়

 

কবিতার কালিমাটি ১২০


এক পকেট মেঘ         

 

কে জানে কেনা যাবে কিনা,

এতদিন থামেনি বিক্রির হেমন্ত পসরা।

হঠাৎই বেজন্মা সব রহস্য মৃত্যুও স্বপ্নের বুকে

একটা গভীর জন্মদাগ টানে,

খুঁটে খাওয়া স্বর্গরাজ্যের ভোঁ সমীকরণে জিএমওর মাঝে

লোক লজ্জার ভয়।এক এক করে মুখ ঢেকে যাওয়া,

এখনো কোন আশ্রমে খাওয়া না হলেও

শেষ পাতে একটু চাটনির আশাতে

বসে থাকা তেঁতুলের এভাবেই জীবন কাটে।

বাগানের এপ্রান্তে ফুল ওপ্রান্তে বসে থাকা

মালির পকেটে তখনো পেরেনিয়াল মেঘ।

 

কান্না পাথরের চাপা কষ্ট             

 

নিতান্ত অস্থির স্রোতের মাঝে আধডোবা পাথর,

ছোঁয়া লাগছে বৈশাখী বিকালে। একটু পরেই গোধূলি

রুমাল ছোঁবে, পাশ কাটিয়ে ছাই নিয়ে মারামারি করবে

উড়ন্ত সভ্যতা। ফেনার যে সিণ্ডিকেট হয় সেটা জানবার

পরেও এমন কিছু পরিবর্তন হয়নি।

একটু বাঁদিক চেপে ব্যথা, একটু ডান দিকে চাপা কষ্ট,

এর মাঝে পাথরে আধডোবা স্রোত যখনই খোঁজার

চেষ্টায় ঠিকানা খোঁজে তাদের বাড়তি উত্তেজনাকে

কুর্নিশ জানবার পরেও শুধু গোধূলি রুমাল ছাড়া

আর কোন ভগ্নাংশ নেই।

 

জলবন্দির জলছবি          

 

এই যে জলবন্দি ছবি, কাঁধ অবধি ক্যামেরা ও

কারসাজি, টুপ করে একটা তারা খসার অপেক্ষায় লেন্স।

এখনও অবধি যা কিছু জমা তা ফুটেজের গুটিপোকা,

বন্দি থেকেও খোলা আকাশ রাস্তায় ভেসে বেড়ানো

ঝড়ের পিছনে কয়েক পা।

তারপরেও আরো কিছু হাতে গরম ভাব উঠবে

বেঁচে থাকার। গলা অবধি জলের ভিড়ে আটকে

পড়া টয়লেট ও রজচক্র। এই তো ছোটা শুরু

নতুন ফুটেজের শরীরে আটকে আছে আগামীকাল।

 

বেঁচে থাকার ঘাসপাতা        

 

এই তো ছুঁয়ে ফেলা সমস্ত অনুবাদ অনুভবে বোনমিলের

অলিগলি। একবুক হতাশার এখনও একক খোঁজা।

খেতে না পাওয়া ভবিষ্যতে ক্লোরোসিস ঘাসপাতা,

আমাদের চোরাবালি রাখা খাদের দু’হাত নিচে।

এরমাঝে আগুন টুকরো পলাশের পাশ ফিরে

যেভাবে রোদের গোলা তেমনি ঝলসে ওঠে হাড়

মেদ মাংসের সব উপপাদ্য।


কোন মন্তব্য নেই:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন