সোমবার, ১৩ জুন, ২০২২

ধীমান চক্রবর্তী

 

কবিতার কালিমাটি ১১৮


কায়া

 

পাহাড়, সবুজ এবং সামান্যর ছাই।

শীতকাল। -- মাটিতে পুঁতলেই

মিরিকের জল ঠাণ্ডা হয়ে ওঠে।

জীবন ও মৃত্যু। দুজনেই দেখতে পায়।

শীতকালের গালে কাটা দাগ।

শিস দিতে দিতে হেঁটে যাওয়ার সময়।

এসব নিয়ে আর মাথা ঘামাই না।

মাঝে মাঝে একটু ভয় করে।

 

নোলক পরা পাইনরিজ, সবুজ পাতা,

ব্রেসিয়ার খুলে রাখে।

গায়ে হলুদের পর কেউ কেউ

সেসব দেখতে পায়। গয়নার বাক্স

এবং ঝরাপাতাও, -- তা দেখতে পায়।

 

ছায়া

 

মধ্যবিত্ত আলো। পাল্টে গেলো লামাহাটায়।

রক্তশূন্য গোলাপ, তার লাল। --

বাজায় গাড়ির হর্ন এবং শীত শীত

রাখিপূর্ণিমা। এখানে কোনও গঙ্গা নেই।

গঙ্গার রঙিন ছায়া আছে হয়তো।

স্তব্ধতার মধ্যে। হাঁটতে থাকে।

দশ বছরের কালো রাস্তা। যখন,

চায়ের সাথে কথাবার্তা শুরু করেছিলাম।

ডিপ ফ্রিজের ভেতর। স্লিভলেস ইসকুল,

ইতিহাস বই এবং ফর্সা নার্সটি।

সকালবেলা কেভেন্টার্সের ছাতে বাজছে

রেলকম ঝমাঝম। যা আমরা কেউই শুনতে পাইনি।

 

মায়া

 

মাঝে মাঝে সবাই ভুলে যাচ্ছিল।

শব্দ মাপা পরিযায়ী। --

কালো শ্লেট সাজনো পুকুর।

মণিবন্ধে ঘড়ি। কখনো আমাকে

ডেকে ওঠে সাতষট্টি নামে। বটানি

ক্লাসের খোলামকুচি, আধবোজা চোখ,-

আইস অ্যাক্স নিয়ে শব্দ বেয়ে ওঠে।

পাহাড় চড়ার স্কুল, হিপ হিপ হুররে ,--

মাথায় হাত বোলায় তিনপাত্তি খেলা

লাল পান্ডার। সেটাই কি  ডাকনাম?

যে একবার দু'বার জ্বলে উঠেছিল

সাদা দোলনায়। হাইফেন লেখা মহাকালে।


কোন মন্তব্য নেই:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন