কবিতার কালিমাটি ১১৮ |
মৃত মৎস্যজীবী ও কিছু ল্যাটারাল লাইন
মৃত মৎস্যজীবীর
রক্তাক্ত ছায়ার পাশে দাঁড়ালে নিজেকে অমুলদ সংখ্যার পরিত্যক্ত বিকেল বলে মনে হয়
সালমোনেলা টাইফির
একগুচ্ছ ভাটিব্রা পরীক্ষার ক্লিনিক্যাল রিপোর্ট নিয়ে একটি ঝাউগাছের হঠাৎ বৈরাগ্য দেখা
দিল,
ক্রোমোজোম নেই,
জিভ নেই, ল্যাটারাল লাইন নেই, স্পার্ম ডেনসিটি নেই, শুধু থকথকে একগুচ্ছ প্লাজমা ঠোঁট
নিয়ে আমি চোখের ভেতর থাকা পীতবিন্দু খুঁজে বেড়াই
ঈশ্বরের মতো
রাতের বেলায় প্রতিটি মানুষকে হত্যা করতে ভালোবাসি আমি ও
ফ্যালোপিয়ান
উষ্ণতার শরীরে থাকা তিনটি অসম বর্ণের পাথর নিয়ে এক নারীকে কল্পনা করে যাই প্রতিদিন
রাতের বেলায়
যে আমার অনন্ত শরীরের জন্য প্রতিদিন ধ্যানে বসে আছেন সাদা জবা ফুলের পাথর গাছ নিয়ে, কোন মৃত্যুর পর তাদের শৈশব ঘর্মগ্রন্থির তেঁতুল গাছগুলো ক্রমশ বেড়ে যায়
আমি অসুস্থ
সেবিকাদের কথা ভাবি যারা প্রেগানিউজের তিনটি ধারাপাতের উপর একগুচ্ছ দশক স্থানীয় সংখ্যা
রেখে সিমেন এনালাইসিস করছেন, মার্কার পেনের একটি নৌকা আরও রঙিন করে তুলছে ইপিকাক গাছের
নাভিলম্বকে
মৃত্যুর ও আজকাল
প্রজনন ঘটছে প্রতিদিন √৫ সংখ্যাটির মতো
0° জলে ডোবানো
দ্বিমুখী মৃত্যুকে নেশাখোর বলেই মনে হয়
একটি হলুদ রঙের ব্লাউজ কবিতার উপর কিছু ডটের লাইন অনন্ত ঈশ্বরের দিকে চলে গেছে, আমি তার আলতা পায়ের ছাপে সমান্তরাল সংখ্যা খুঁজে বেড়াই
পিথাগোরাস ও চতুর্ভুজ মৃত্যুর শরীর
প্রতিদিন দুটো
চোখের উপপাদ্য থেকে পিথাগোরাস একটি ব্যাবিলন খুঁজে বের করেন নরম স্তনবৃন্তের আগ্নেয়
পাথর দিয়ে
অসুস্থ হয়ে যাওয়ার পর বৃত্তাকার রান্নাঘরগুলো থেকে এক একটা হলুদ রঙের অন্তর্বাস শীর্ণ নারী পুড়িয়ে আসেন আগুন খাওয়ার পর
আমি শুধু অসুস্থ
ব্যঞ্জনবর্ণের মাথায় থাকা অদৃশ্য সবুজ রঙের তরোয়াল নিয়ে বেরিয়ে আসি নেবুলাইজেশন
ঘর থেকে
গুয়াফেন্সিন
নামক স্থির আলোর রেখাটি আমাকে ছুঁয়ে যায় প্রতিদিন মৃতভোজী আটিভান খাওয়ার পর
সকলেই উলঙ্গ
মৃত্যুর পর আরও একবার মৃত্যু ঘরে থেকে নেমে আসে স্বপ্ন ঘরের ভেতর
আমরা কখনোই
ইলাস্টিসিটি পোশাকের ছবি দেখতে পাই না, প্রতিবিম্বহীন মানুষগুলো দৌড়ে বেড়ায় এক একটা
ভয় শূন্য শ্মশানের কাছ থেকে
আমি শুধু জীবাশ্মের
ভেতর থাকা একটি সাদা রঙের অনন্ত জীবাশ্ম খুঁজে বেড়াই দুই আঙ্গুলের ফাঁক দিয়ে
আঙ্গুলের কাছেই
বৃক্ষ রাশির যোণী চিহ্নটি লুকিয়ে আছে আমি শুধু অনন্ত বিভাজিকার কাছে একগুচ্ছ লিটমাস
পেপার রেখে দ্রবণের মৃত্যু পরীক্ষা করে আসি
আজকাল মৃত্যুকে
চতুর্ভুজ মনে হয় শীঘ্রপতন ঘটার পর
পৌনঃপুনিক নাবিক ও লিভোসেটিরিজিন চারাগাছ
আমি পৌনঃপুনিক
নাবিক শরীরের যান্ত্রিক পরিদর্শকের মতোই শ্বেতাঙ্গ পুরুষদের সাথে অসুস্থ হয়ে যাই ক্ষুধামান্দ্য
রোগীর মতো,
তখনো সকলেই
ফিকফিক করে হেসে ওঠে কাগুজে সরীসৃপের মতো
কালো রঙের পাখির
কাছে কেবল অসুস্থতার কথা স্বীকার করা যেতে পারে, লিভোসেটিরিজিন ছায়ার নিচে দাঁড়ালে
আমার গায়ের সব বিষুবরেখার অনন্ত মধ্যাহ্নরেখাগুলি তিনটি শুঁয়োপোকার শরীর নিয়ে অজস্র
টেস্টোস্টেরন খুঁজে বেড়ায় সাদা ধুতির উপর
যারা কার্ডিওমায়োপ্যাথি
নামক ঔষধি চারাগাছকে রোপন করে তারা শুধু আট হাত দুটি দৈর্ঘ্যকে খুঁজে বেড়ায় দেওয়ালে
টাঙানো রক্ত সঞ্চালনের নীল রঙের শিরাপথের উপর
আমি তখন চাঁদের
নিচে একটি স্নায়বিক মানুষকে দেখি যার শরীর থেকে ১৩ জোড়া টেস্টোস্টেরনসমৃদ্ধ শুক্রাণু
বেরিয়ে যাচ্ছে একটা ধারালো নালিপথের ওপর দিয়ে
নিজের মুখমণ্ডল আসলে একটি পানকৌড়ির দ্বিতীয় পক্ষের নারীর নাম, যাদের মাথার উপর নব বৃন্দাবনের সুরম্য যমুনা ক্ষেত্রে একগুচ্ছ রাজহাঁস ফেলে যায় তাদের তরল ফসফরাস
উলম্ব দৈর্ঘ্যের
কালো অক্ষরের মিশর শহরের নিচে দাঁড়িয়ে কেবলমাত্র অ্যালকোহলিক ফুল খেয়ে বেড়াই প্রতিদিন
রাতের বেলায়
যে নারীরা হলুদ শাড়ির ভেতরে নীল অন্তর্বাস ঢেকে রাখে তারা কখনোই হিমোগ্লোবিন ফুলের
ধারাপাত মনে রাখতে পারে না
ইনটেনসিভ কেয়ার
ইউনিটের ভেতর থাকা একটা প্রবুদ্ধ নৌকা সরল কোণ এঁকে গেছে কোন এক রাতের বেলায়
আমি বিবিধ স্বপ্নপুরীর
এক খনিজ ভর্তি যানবাহন নিয়ে ফিরে আসি প্রাচীন মন্থকূপের কাছে
আমি আজকাল নিজেকেই
সায়ানাইড দিয়ে আত্মহত্যা করতে ভালোবাসি,
দরজার কাছে একটি নীল গোখরো পুষে রেখেছি যে আমাকে প্রতিদিন রাত আড়াইটের সময় রক্তাক্ত করে দেয়
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন