কবিতার কালিমাটি ১১৮ |
পুতুলকথা
তুমি পুতুল
ভালবাসো, জানি, সাজিয়ে রাখো
কাচঘরে, সেখানে
বাতাসের যাতায়াত নেই
তুমি নাচ ভালোবাসো
বলে দম দিয়ে
পুতুল নাচাও...
পুতুলের গায়ে
জলের কোন দাগ ছাপ নেই
তার কোন খিদে
নেই, তেষ্টা নেই - এরকম ভাবো
ও ভাবেই তাকে
রাখো বছর বছর...
বসত বদল হ'লে
পুতুলেরও ঠাঁই নাড়া হয়
এই ঠাঁই কে
চেয়েছে? পুতুল নিজেই!
অনেকেই বহুলাংশে
ভুল জানে,
পুতুলের কোন
চাহিদা থাকে না, তবে
কিছু মানুষকে
পুতুলের মতো দেখায়--
এইমাত্র...
আর কিছু নয়
প্রত্নচিহ্ন
ভেসে আসে তক্ষকের
ডাক - আমি শুনি, আর?
সবাই ব্যস্ত
কাজে, চোখ খোঁজে কদমবাহার
পুরনো গৃহের
গায়ে শিকড়ের আনন্দবিস্তার
বার্তা বাহিত
হয় দূর-আলাপনে, মুহূর্ত ব্যবধানে
খণ্ড তমসুকগুলি
কেউ বুঝি রোদেতে শুকোয়
অন্ধ গহ্বর
থেকে অনাবেগ উপেক্ষা...
এভাবেই বহে
যায় যমুনা-জাহ্নবী
এখানেই জমা
হয় প্রত্নচিহ্নগুলি
নিষ্ঠুর
আমাদের মন ভালো
নেই বলে
পিত্তরঙের বৃষ্টি
হলো আজ, তখন দুপুর...
পূর্বরাগ ছিলো
না কিছুই, তবু এলো
এসে বিশ্রী
ভিজিয়ে, তবে গেলো।
মাথার সমস্ত
শিরা উপশিরায়
ঢেলে দিয়েছিলো
গরম বিষ
তাই আজ অন্নে
রুচি নেই
নিষ্পাপ হাসিকেও
কুৎসিত লাগে
চারদিন নির্ঘুম
থেকেছি একটানা
শরীর বেয়ে সরীসৃপের
নোংরা চলাচল-
ঘেন্না করে,
দহন দেয়...
এতই নিষ্ঠুর
এখন দেখি সহনও
দিয়েছে
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন