সোমবার, ১৩ জুন, ২০২২

দেবলীনা চক্রবর্তী

 

কবিতার কালিমাটি ১১৮


একগুচ্ছ কবিতা

 

(১)

 

আকাশের কুসুমবনে কল্পনার চিকুর জাল

এহেন রূপময় পরিমণ্ডলের পাশে তোমার

নয়নাভিরাম হাসি।

 

(২)

 

অজস্র মান্যতা ও সম্ভ্রমের আদলে আছো জড়িয়ে!

তোমায় অবলীলায় পড়া যায়

দেবনাগরী লিপির হরফে বাম থেকে ডান

তবুও,

মাঝে মাঝে বাদ সাধে অনড় কিছু যতিচিহ্ন!

 

(৩)

 

তোমার মগ্ন অনুধ্যানের মাঝে হুড়মুড়িয়ে বৃষ্টি এলো

মেঘ কূহকের পর্দা উড়লে দেখি

দৃষ্টিনন্দন আলোয় ফুটে উঠছে

নির্ণীয়মান ভালোবাসা।

 

(৪)  

 

আঙুলের বিভঙ্গে আঁকি ক্ষণকালীন মুদ্রা

যা আলোর বিপরীতে গড়ে দেয়

অলীক চিত্রলেখা

 

সে চপলতার কাছে দু'হাত পেতে দাঁড়াই

তবু প্রতিবার

কোন এক রাতনিশি ডাক দেয়

আর, সেই বেভুল পথে

আমি ও অন্ধকার সরে সরে যায়...

 

(৫)

 

কোনরকম রীতিনীতির তোয়াক্কা না করেই

এই যে পারস্পরিক আত্মরস আকন্ঠ পান,

আবার সমস্ত আড়াল আবডালের গতিবিধি

এড়িয়ে গিয়ে ভেসে থাকা লহর আনন্দে

এসবই আমাদের দূরত্ব উপকথার অব্যর্থ নজির

 

অথচ তবুও

মাঝে মধ্যেই বেজে ওঠে দিগন্তে

কালো মেঘের তালবাদ্য।

 

(৬)

 

দিবারাত্রি, ঘড়ি, আলো... এ সমস্ত ধ্রুবক

পরিমিতি মেপে নিচ্ছে আমাদের হৃদ্যতা

 

বাকি যেটুকু পড়ে থাকে তা অপরিমেয়

বিশ্বাসে, অনুভবে যেমন তুমি, আপাদমস্তক আমার

শুধু তোমার আলোর ভিতর চেয়ে থাকা ভালো

 

জানি

সে আলোটি ছুঁয়ে দেওয়া সহজ নয়

যে আলোতে অনন্ত নিরাময় লেখা

হে বিমুগ্ধ আলো, তামাম শব্দের আড়ালে

মোহ দিও, দিও দশমীর মায়াবকুল।

 

 


কোন মন্তব্য নেই:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন