কালিমাটির ঝুরোগল্প ১০৫ |
পাগলে পাগলে দেখা হয় কখনও
পাগলের মত ভালোবাসতে চাওয়া, আর ভালোবেসে পাগল হয়ে যাওয়ার মধ্যে ফারাকটা কী? আলোর তফাৎ। একটা সূর্যকিরণ আর একটা মৃদু মোম আলোর। কথাগুলো বলে ফেলার পর বুড়ি চুপ করে পায়ের আঙুলের নখ দিয়ে মাটি খুঁড়ছিলো। আসলে তো মাটি নয়। লাল সিমেন্টের মেঝে। ফলে কিছুই উঠে আসছিল না নখের ডগায়। উঠেই বা কী হয়? শুধু মেঝেটা অকারণ লাল হয়ে উঠছিল!
বুড়িকে আমার তেমন চেনা হয়নি কখনও। মাঝে মাঝে কেবল দেখা হয়ে যেত। যেমন চিতার আগুন নিভে যাবার আগে খানিক খুঁচিয়ে দিলে আবার দাউ দাউ। উপমাটা ঠিক হল না। হবার কথাও বোধহয় না। কারণ চালু উপমায় সাধারণকে ব্যাখ্যা করা যায়। চেনা উপমায় ধরা দেবে না বলেই বুড়ি হয়ত...
এমনই এক শীতের রাতে বুড়ি নিরুদ্দেশে পাড়ি দেয়। নিরুদ্দেশ? বুড়ি কি পাগল হয়ে গেছিল তার আগে? নইলে এই শব্দমালার মাঝের স্পেসগুলোয় হাত রাখতেই কেন জোর শ্বাসপ্রশ্বাসের স্পর্শ ভেসে আসছে?
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন