কবিতার কালিমাটি ১১২ |
অক্ষরাস্ত্র
(১)
নিজের বলতে
কিছু নেই কিচ্ছু নেই।
না বন্ধুক নেই।
বন্ধু নেই।
দা কিরিচ কিচ্ছু
নেই।
একজন বন্ধু
হয়, পরক্ষণেই বম।
একজন মনের ভেতর
কোমল হাত বাড়িয়ে
শেষ অব্দি মেধার
মেদ ঝরিয়ে
তিনিও চলে যান।
(২)
অবশেষে ট্রেন
আসে।
সত্তর বছর পর।
দুজন সাংসদের
জন্য দুবার দাঁড়াবার
সময় নেই। সময়
মাত্র দুমিনিট।
সত্তর বছর পর
রাজধানী এলো
সময় মাত্র দুমিনিট।
(৩)
বারবার কেউ
না কেউ কেড়ে নেয়।
সব অস্ত্র ছেড়ে
নিস্ব
আমাদের কিচ্ছু
নেই।
ফেনিয়ে ফেনিয়ে
গল্প বলতে পারি না।
সহজ করে বললেও
লোকে বলে কঠিন
বলি
পেঁচিয়ে বলি।
সব কিছু হারিয়ে
বুকের ভেতর
রেখেছি
সামন্য চাষ,
বাবার লাগানো ধানগাছ।
ধানগাছ থেকে
বের হয়
এক একটি অক্ষরাস্ত্র।
(৪)
অস্ত্রোপচার
করে বিশল্যকরণী লতার রস
লাগিয়ে উপশম
হয়?
না হয় না। ক্ষত
থেকে ক্ষতিকর রস শুষে
একদিন কলম লিখবো
ভণ্ডদের
ভণ্ডামিচরিতমানস।
(৫)
এসো অক্ষরধানের
সবুজ লিখি
মস্করার ইতিবৃত্ত,
শীততাপ নিয়ন্ত্রিত
বইম্যানের ফাজলামো
ছেলেখেলার নেতিবাচক টুংটাং।
সেই সকল সমিতির
অন্ধকারে
গলাটিপে দেওয়া
বেইমানদের
মুখের আদল থেকে
সরে যাবেই
আলোকিত শ্লেট।
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন