কবিতার কালিমাটি ১১২ |
সীমানার বাইরে
উঁচু পাহাড়ের
ওপর থেকে
নিচে শহরের
ঢালু পথ ক্রমশঃ
দৃষ্টবহির্ভূত
হয়
চারিদিকে সবুজের
সমারোহ,
জংলী ফুলের
আধিক্য,
সুবিস্তৃত শস্যক্ষেত,
শহরের উঁচুনিচু
বাড়িঘর
ছড়িয়ে ছিটিয়ে
থাকা আরও
পাহাড়ের ওপর
মেঘের ঢাল
আকাশের ওপর
সূর্যের ঝলমল
এমনি কিছু দৃশ্যাবলী
মনে গেঁথে
অতঃপর ঘরে ফিরে
যাওয়া।
নদীর কিনারে
ভিন্ন ভুবনে
ভিন্ন পথের ধারে
বন্ধু আমার
নদীর কিনারে থাকে
বাড়িটি তার
ছবির মত আলোছায়া মাখে
বন্ধু আমার
নদীর কিনারে থাকে
কোনোদিন বুঝি
শেকল ভেঙে
উড়ে যাব ডানা
মেলে সেই নদীর বাঁকে
বন্ধু আমার
নদীর কিনারে থাকে
রূপকথার গল্প
হয়ে স্বপ্ন ঘিরে রাখে
অজানা অচেনা
শহর হাতছানি দিয়ে ডাকে
বন্ধু আমার
নদীর কিনারে থাকে।
সেই মেয়েটি
উঠোন পেরিয়ে
দূরের মাঠে
একলা হেঁটে
যাওয়া মেয়েটি
গান গায়ে আর
শস্য কাটে
কত গানই ত'
শুনি আমি
তবু তার গান
কেন মধুর লাগে?
খর রোদের তাপে
লাল হওয়া
গালটি মেলে
এক মনে সে শস্য কাটে।
ওকে কেউ ডেকে
বলো,
আজ থাক, কাল
নয় সে আবার আসুক
একবার শুধু
যেন দেখা করে যায়,
আমি তাকে শুধোব,
মেয়ে বলো ত' কেন?
কত গানই ত'
সারাদিন শুনি,
তবু দূর হতে
তোমার ভেসে আসা গান
আমার সবচেয়ে
মধুর লাগে?
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন