কবিতার কালিমাটি ১১২ |
স্বর্গীয়
শিউলি ধোয়া
জলের মতো আলো
আমার মৃতদেহ
ভেঙে গড়াচ্ছে খুব ধীরে,
তোমার আদরের
চেয়ে সন্তর্পণে
ঘুমের ঘাটের
কাছে কাচকি মাছের ঘরে
খুঁজতে যাচ্ছে
মাটি,
চিতার শেষে
ওই মাটিতে মাদুর পেতে শোবে,
সুখের দিব্যি
স্বর্গ নামে
তোমায় চিনে নেবে।
পতঙ্গরা
শরীর জুড়ে পতঙ্গরা
অবাঞ্ছিত উড়ছে
মেঘ হলে নয়
বৃষ্টি দিতো পশলা খানেক শহর দিতো
ভাড়ার ঘরে ছলছলিয়ে
বাড়তো বিকেল
গাছের মতো রাতের
তলায় চোখ পাততাম ভাতের লোভে--
খাইনি যে কাল,
পরশুও নয়, তারও আগে কত যে যুগ শূন্য শুধু
শূন্য গিলে
রতির গায়ে রাগ রেখেছি মিছে, এখন শুধু শরীর জুড়ে পতঙ্গরা অবাঞ্ছিত উড়ছে, মেঘ হলে নয়
বৃষ্টি দিতো
হাবু ডুবু নিয়ন
দিতো
পশলা খানেক
তোমায় দিতো' অন্তত--
ফিরব
ছোবল গেঁথে
দিয়ে ঘুমন্ত ক্যানভাসে
বিষ লিখে দেয়
শূন্য, শূন্য থেকে রাশি রাশি নীল
বিয়োগের শেষে
রাত আঁকে বুদবুদ আর বুকে হাঁটা
মহাশূন্য।
থেকো ভাতে ভাত
মেখে আদর ডুবিয়ে রেখো পাতে,
ফিরব অসুখ গায়ে,
তুমি ঘুম রেখো দুই হাতে।
ফিনকি দিয়ে মন…
চোখ ডুবিয়ে
নিভন্ত ঘর
শহর জুড়ে মেঘ
মাছের মতো নিঘুম
জলে
নিতল নিরাবেগ
শিরায় শিরায়
বৃষ্টি নদী
আঙুল গুনে চুপ
মরা মীড়ে মৌন
মিথুন
ভুখা কথার স্তূপ
এখনও তুই আসবি
না মন ফিনকি দিয়ে অমলতাস
পুড়িয়ে দু চোখ
শহর দেখুক তোমার আমার সহবাস।
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন