কবিতার কালিমাটি ১১২ |
অচেনা
যবনিকা সরে
যায়!
অনিবার্য যে,
সে এসে যায়।
রূপ যেন অহঙ্কার
তার!
নিস্তব্ধতা
বুকে হেঁটে যায়!
যে এসে দাঁড়ালো,
কেউ কি
চিনলো তাকে?
তবুও প্রতীক্ষা
থাকে চেনার।
শব্দের খেলা
চলে অনবরত।
চেয়ে থাকি শুধু
চেয়ে থাকি!
জানি, যে যাবে
সে ঠিক চলে যাবে!
নীরবতা
আমরা সবাই কল্পনা
করতে ভালোবাসি। বাস্তবের উঠোনে আছাড় খেলে তাই লাগে বেশি। বাস্তব আসলে এক নির্বাসন।
কেউ মরে যাচ্ছে তবুও তুমি চুপ! কেউ হারিয়ে যাচ্ছে কালের অমোঘ চক্রে... তুমি চুপ। তুমি কি জানো না চুপ করে থাকা এক অসহ্য অভিজ্ঞতা! সময় পার হয়ে যাওয়া একটি গাছ কেঁদে যায় অনবরত ফুল ফোটাবার জন্য। আর অনুভবী এক হৃদয়কে বুকের তলে বয়ে নিয়ে যেতে যেতে হারিয়ে যায় এক মননশীল মানুষ।
লিখতে না পারার যন্ত্রণা জানো? হাত খারাপ হয়ে যাওয়ার যন্ত্রণা? তুমি আবার চুপ!
হেমন্তের মন খারাপ করা রোদের তেরছা আলোতে জানতে পারি আমাদের আগামীরা শেষ হয়ে যাবে ধর্মান্ধতার মোহে। বিপ্লবের গন্ধ পাও? বারুদের? রক্তের? না নাকও বন্ধ তোমার? তুমি চুপ!
কিছু সাঁকো মানুষ থেকে মানুষে পাতা থাকে। ওটা ব্যবহার করো। চিনবে, জানবে... তোমার চুপ করে থাকা শেষ হবে। তুমি কি সত্যিই এখনও জানো না চুপ করে থাকা এক অসহ্য অনুভূতি!
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন