কবিতার কালিমাটি ১১১ |
ঢেউপাখিদের সাড়েঙ্গিটা
(১)
আমার প্রথম
লাগা ড্রিম
একসকাল নিরুদ্দেশ
গেয়ে
হাতঘড়ির কাঁটায়
বাজলো।
নীল একটা চতুষ্কোণের
স্বপ্ন
আয়না থেকে কিছুটা
তুলে
ঝিঁঝিডাকা গানের
আকাশ
দিনের শেষে
দ্রিদিমে
আরও সবুজ হয়ে ওঠে।
ক্ষেত্রফলের
তানগুলো তখন
জ্যোৎস্নার
বুকে…
(২)
শব্দঘাটে উল্কি
করা
এক এক টুকরো
নিঃসঙ্গ।
ঢেউপাখিদের সাড়েঙ্গিতে
শোনা যাচ্ছে
মনফকিরার মৌন তা।
আমি তান শুনলাম
শাওন কাঁটার
ঝোপ
বাসর জাগলো
একটা মফস্বলের
গন্ধ নিয়ে।
শেষ পাতের দই
ধুলো ধুলো
অনেকটা চলে
যাওয়ার পর
এক চাকার বেড়ে
চাঁদের বায়না।
বসে থাকে শুধু
ধূসর নৈঃশব্দ্য…
(৩)
আমার রাত্রিভাসা
এক নদী
ডানায় জমছে
স্নানের শব্দ
আর কথাকলির
রঙ
আধো আধো।
এতো কমদামের
রোদ
সূর্য কি জানে!
একঘর ফুটলে
অনেকদিনের পুরোনো
চিলেকোঠার গুণ
গুনগুন হয়ে
রোদ্দুর বুলিয়ে।
আমাদের বাড়িটা
এখন
হাসবে না কাঁদবে
এক একদিন ভুলে
যায়
ধুলো পায়ের
চৌকাঠ
ওপারে রেখে
আসা
দু আঁচলের ব্যর্থতা।
(৪)
কিছুটা কুড়িয়ে
এই অপরূপ
ভাসতে ভাসতে
নিস্তরঙ্গ।
আরেকটা আরম্ভের
জন্যে
গন্তব্যের শেষ
এলো না
নোনাদাগের হাওয়া
আমরা একটা নতুন
খুঁজছি।
ঝোপে আরও কয়েকটা
ঝড়ের প্রকল্প
এবং মল্লিকা
ফিরতেই সন্ধ্যালোকাল
একটা বাঁশির শব্দ।
কোথাও যাওয়ার
নেই জেনেও
হারিয়ে যাওয়ার
যুক্তবর্ণে
আমরা কেউ কেউ
লিখে রাখতে চাই
এটুকু দিনান্ত…
(৫)
অস্ত জানে না
আমাদের সমস্ত
নিস্তব্ধতা
হাতে হাতে একদিন
কতো বড়ো হয়ে গেলো!
অস্ত্র জানে
না
প্রতিটি যুদ্ধের
পর খণ্ডজল
নিজের কান্নাকে
ফেরি করে
শূন্যের ঘরে ঘরে।
একটা বুদবুদের
মহড়া
খিদে নিয়ে নিরন্ন
পাতার শিস জুড়তে
জুড়তে
জড়িয়ে পড়ে
সম্পর্কহীন
রাত্রির সঙ্গে।
এক একটা ফাঁদ
নিরাপদ দূরত্ব
রেখে
খুলতে খুলতে
গড়িয়ে যায়
আরেক আশ্বি
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন