কবিতার কালিমাটি ১১১ |
ঋণ
জনশূন্য ঘর।
জানালা দিয়ে অল্প আকাশ দেখা যায়। অস্তরাগে বটের ঝুরির ছবি। ঘাসের পিরিচে বসে পাই এক
আঁজলা নদী।
অশ্রু যেন আর্সেনিক!
জানো তো কিছু বাসনা! হৃদয়ের স্পন্দন যেন বৃষ্টির প্রার্থনা। বেদনার হৃদয়ের পলিমাটিতে
হারিয়ে যায় সব সত্য।
দেখে নিও, মেটাবো
তবু আনন্দে আজন্মের ঋণ।
বাবাকে
কোথাও তো কিছু
অর্জন করতে চাইনি। মাত্র জনপদ ছুঁয়ে ছুঁয়ে গেছি। নদীর দেশের মেয়েকে সাঁতার শিখিয়ে
যাওনি! খেলা? তাও কি শিখিয়েছো? সবাই যখন খেলতো আমার ভূমিকা ছিল শুধু মাত্র দর্শকের!
চোখ বড় বড় করে খেলুড়েদের দেখে যাওয়া। চাল বুঝতে তখনও পারতাম না... এখনও না।
মনের খোঁজ চলছে
বাবা। শ্রদ্ধার ছবির পেছনে শরীর লুকিয়ে থাকে। আয়নার পারদ খসে খসে পড়ছে। তবুও নিজের
ছবিই দেখি। বিপদের রং কী বাবা? হলুদ? তাই চোখে
আজ লেগেছে সেই রং!
উড়ন্ত চিল নাকি
ঝড় বৃষ্টির কথা আগাম টের পায়। মন মানতে চায় না বিপদের সংকেত। ভুলগুলো সব আবার ঠিক করে
নিলাম। বিরহ নামের মন কেমন করা সন্ধ্যাগুলি ফিরিয়ে দিলাম!
অনেক চলেছি... চলছি... চলবো। রীতিমত যুদ্ধ করে টিকে
আছি। থাকবো!
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন