রবিবার, ১৭ অক্টোবর, ২০২১

পৌলমী ভট্টাচার্য্য

 

কবিতার কালিমাটি ১১১


পিচ্ছিল ডাক্ট বেয়ে

 

অক্সিন চক্কোর কাটে এরাবিডোসিস থালিয়ানায়

শিকড় রস খোঁজে ...

নির্বাচন মহলে টহল দেয় গুপ্ত মনের চোরা শিকড়

কবিতার শরীর থেকে খুলে পড়ে

রেশম সুতোর অভিব্যক্তি

 

বেআব্রু মুখগুলো চকচকে -

 

স্টেরয়েড জৈব রাসায়নিক পদার্থ বেয়ে চলে

পিচ্ছিল ডাক্ট বেয়ে

ফুৎকার তোলে দূতাবাসের দ্বিতীয় আভোগ

লাল কোষের ছিদ্র ফুঁড়ে চলে

বারবণিতার উদ্দাম ফাইন আর্টস

 

পেপটাইড বিবস্ত্র প্রান্তরের কৌণিক দূরত্ব মাপে

বেহিসেবি, স্বল্প বসনে তামাশা করে ব্রাসিনোস্টেরয়েড  -

ফূর্তি মাঠে শয্যা পাতে

ফলিকল উদ্দীপিত হলে

কলম এবং অক্ষরের সহবাস চলে বিয়াড়ি ছন্দে

ডিনোমিনেটর রসদ খোঁজে।

 

আর্টারি বেয়ে যাতায়াত করলে

 

আমার অনুভূতিগুলো ছান্দোগ্য ভাগ খুঁজেছে

আলপিন দিয়ে গেঁথে দেয়

বেদান্ত আমার নাভিমূলে

মন্ত্র ঝরে ভিজে চুল বেয়ে  -

 

তুমি আচমন করো

তোমার বুকের ভেতর উচ্ছ্বল ট্রামলাইন

প্যারালাল গতিজাড্য আমার বুকে

নিরক্ষর রেখা ধরে আমি হাঁটি ...

আর্টারি বেয়ে যাতায়াত করলে আমি

রাজতন্ত্র লিখি লাল শাড়ি পরে

 

সমাধিস্থ তুমি তোমার রাজবেশে...

স্পিচ থেরাপি চলে বারোমাস্যার ত্রিকোণমিতিতে

বিস্তৃত চরাচরে আমি চুল এলিয়ে দিই

নক্ষত্র নামে চিবুকের গভীরে ...

আস্তানা গাড়ে মধ্যযামের পাঠশালায় -

 

বাদী ছেড়ে বিবাদী নিয়ে তোলপাড়

আমার লিথোস্ফিয়ায়

তুমি কেবলি মুখগহ্বরের সীমানা লঙ্ঘন করো

আমি বেবাক নীরব...

দ্যাখো শ্রী খোল ছুঁয়েছে

অজয়ের মরা চরের ফুসফুস

তুমি প্রেম সায়রে কস-থিটার ক্যালকুলেশনে মশগুল

আমি পদ্মপাতা সামলাই...

আর, পরিধি মাপে

তোমার জ্যামিতিক আঙুলের পরিভাষা।

 

আমার আকাশে নক্ষত্র

 

কফিনের কোলে ঘুমন্ত শরীর

লাল রঙ মেখেছে শ্যামলা নারী

নেমে এসো নক্ষত্র, ছুঁয়ে দেখ...

 

প্রাচীর তুলেছে সে কফিনের পরিখা ঘিরে

স্বাধীন রিপুরা সহবাসে মগ্ন তোমার

সিগারের অক্ষ জুড়ে পরিণীতা আগুন ফাগুন চায়

বইয়ে দাও নারীর দিঘল সিঁথিতে।

 

হৃৎপিণ্ড ছেড়েছে যে শরীর চিনে নাও তোমার শক্তিকে

মরচে সিঁদুরে হাত রাখলে

আদর দেবে মৃত শ্বাসও -

তোমার আগুনে কফিন ছাড়ুক নারী

নিস্পৃহ ঠোঁট শুকিয়ে মরে

আগুনের সহজাত রহস্যে 

ধ্বংস হও নারী প্রেমের আদুরে আগুনে।

 


কোন মন্তব্য নেই:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন