কালিমাটির ঝুরোগল্প ১০১ |
মৃত্যু
অথবা ঘুমিয়ে পড়ার গল্প
যতবার সোজা হয়ে দাঁড়াতে যাই পা পড়ে শ্যাওলা জমা পিচ্ছিল
পাথরে। তবু কেন মাছ লাফায় বুকের ভেতর!
শব্দেরা কেন ধরা দিচ্ছে না? একেকটি শব্দ যেন বেয়ারা টিয়েপাখি। কিছুতেই ধরা দেবে না পণ করে পালিয়ে বেড়াচ্ছে। নাকি বিষ পিপড়ে? অলক্ষ্যে কামড়ে চলেছে অবিরাম। জ্বালিয়ে পুড়িয়ে মারছে একেবারে। গত বছরের ডায়েরিটা খুলে স্থির বসে থাকি। ফর্সা পৃষ্ঠাগুলো মুখ ভেঙচায়। কিচ্ছু লিখিনি টানা একটা বছর! একটি বাক্যও না!
তবু আশ্চর্য হই! তিনশত পঁয়ষট্টিটি অসহ্য দিন কেটে গেল কোন ঘোরগ্রস্থতায়! একেই কি বলে বিপন্ন বিষ্ময়! পূর্ণিমায় হাঁটতে হাঁটতে চাঁদে পেয়েছিল বুঝি! তোমাকে ছাড়া বাঁচতে হবে জানার পর একটা নিঃসঙ্গ হরিণী বুকের ভেতর কাঁদছে টের পেয়ে প্রশ্নগুলো সব ভুলে গেলাম।
কী কী টুকিটাকি নিয়ে বাঁচা যায় খুঁজতে খুঁজতে বাগান করতে গিয়ে দেখি গাছগুলো সব জন্ডিসে ভুগছে। চক্রাকারে উড়তে থাকা সবুজ চিলের দিকে চেয়ে কেটে যায় দুর্দান্ত দুপুর। সন্ধ্যা দীর্ঘ হয়। শুকতারা ছাড়া একটি তারাও আমি চিনতে পারি না।
আজকাল আলসেমি বড় ভালো লাগে। ভুলভাল জীবন নিয়ে বসে থাকি নিজস্ব গুহায়… প্রেম নয় সুখ নয় সামান্য শান্তির আশায়…
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন