কবিতার কালিমাটি ১০৮ |
মেঘের বাড়ি
সুতো দিয়ে টেনে
নিতে পারি,
আজ মেঘের বাড়ি
সুলেখাদের পাড়ায়
বর্ণপরিচয়ের
খাতায় তবু দুলকি চালে
ঘোড়াগুলো রেখে
যায় চলার গমক
কিশোরী গাছের
মনে
বৃষ্টি আজ ঝনক
- জাফরান
ধুলো-মদের ধূসরতা
গলে গলে মিশে যায়
মনের দাওয়ায়
পাতে ছায়াতপে
বঙ্গবিজেতার
সদ্যোজায়মান মাধবীকঙ্কন
সেই মুখ নাগরিক,
নগরনটী ধরেছে
আজ মুজরা ঠমকি চমকি শুধু
বুকের মরশুম,
পাহাড়ি হাওয়ায়
সুতো দিয়ে টেনে
নিতে পারি,
আজ মেঘের বাড়ি
সুলেখাদের পাড়ায়...
পৃথিবীর মেয়েটি রোহিঙ্গা
শ্যামনগর অরণ্যে
প্রচুর পুরনো ঘর-দালান-চিলেকোঠা
মাঝরাতে চলে
যাচ্ছে বাড়ির মেয়ে
নকল রানীর লোহা
গলানো হয় কারখানায়
বনরঞ্জন ধ্বনি
তাও শেখাচ্ছে
দু-দ্বন্দ্ব
চোখের জল,
শিশিরে কি চাঁদের
ছায়া?
দর্শক : চক্ষুষ্মান
ক্রিয়ামতি ঢেউ
পড়ে টায়রা জলে
জলের জলভাঙা
সিঁড়ি,
সিঁড়িভাঙা মন্দুরায়
সব অশোক তোমার
হোক
সবুজের প্রসারিত
বণিক
ফিরিঙ্গি চাঁদের
অমা
পাতাঝরা সমবায়,
প্রপেলার
মেয়েটি অনন্য
ঈশ্বরকণা, অশোকের আঠা,
এক দূরাগত ছোট
রেলগাড়ি চলে যায়
ভিজে ভিজে ছায়ায়...
মহাকরণ
ভগ্ন রোদে সেঁকে
সমস্ত দেহে ছড়িয়ে যায়
বিমলা জুলেখা
মতিবিবিদের বনেদি দ্রাক্ষারস,
বারুণী পুকুরে
লুকিয়ে সাঁতারের জল মুছতে
ব্যবহার করে,
সুগন্ধী ঘামের তোয়ালে
পুরুষোচিত পটভূমি,
রক্তে লৌহ পুকুর,
বহুযুগ আগের
এক অন্ধগলির রাস্তা পেরিয়ে
অনতিক্রমনীয়
ইশারায় পোড়োদালানবাড়ির
গোপন চিলেকোঠায়
রেখে এসেছে
স্যমন্তক সন্ধিক্ষণে
কয়েকটা শব্দের
এসেন্স
হারিয়ে ফেলা
ঘোড়ামারা দীঘি
সুন্দর স্থাণুবৎ
রুদালি বেহাগ,
শরীরে জেগে
ওঠা ট্রাপিজের দড়ি
উঠছে নামছে
জলসার ফাঁকে রাতের সড়কে...
অপার খিলানের
শেষবিন্দু থেকে কেঁপে ওঠে বুক
বাতাস গর্জে
ওঠে জনস্থানে
শরীর যেন পুরনো
নদী
পলকে অবরোহী
দীঘল অভিসন্ধির
মায়ায় উচ্চারিত অসময়,
সংঘ-অনুগামী
শ্রমণ ঘুলঘুলি দিয়ে পালিয়ে যাওয়া রোদের পিছু পিছু পুরুষাকার
এত এতশ ঘর,
সিঁড়ি, বিমর্ষ ফাঁকা চেয়ার টেবিল, শূন্য মহাকরণ
সর্ব অঙ্গে
শুধু তুমি তুমি গন্ধ
অঙ্গ তোলার
শব্দে দিগ্বিদিক
তারাভরা রাতের
রাইটার্স,
মীমাংসাহীন
ফাইলের অভিশাপ
সৃষ্টির আদিতে
কোনো আদম নেই, রয়েছে কেয়স
তুচ্ছ মাছিটিও
আসে মলে ও কমলে
অন্ধকার জানলায়
জানলায় মুখ দেখিয়ে
বালকবেলার কেরাণী
: সেক্টর ফাইভের শেষ প্রতিদ্বন্দ্বী,
কাউন্টের সমাধি
ফুঁড়ে ওঠে মূষিকবিহীন...
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন