বুধবার, ১৪ জুলাই, ২০২১

পৃথা রায় চৌধুরী

 

কবিতার কালিমাটি ১০৮



ক্লোন

 

তোমার বহুদূরে বসে থাকা এক প্রায়-তোমাকে রাখা ছিলো এক আজব পাড়ায়।

নাম ধরে নিই দেবীপাড়া?

তুমি তাকে অজাতশত্রু বলে ডাকতে থাকলে,

তার নাম কেউ কি দিয়েছিলো শেখর?

নামধাম যাইহোক, এক এক করে তার অসমান শ্বাসপথ,

শিরা শিরা অমানুষ হাত-পা-কপাল, ভুখা শকুনির চোখ মুখস্থ করা আছে।  

একই রকম উগ্র ট্যালকম ঘাড়-গলা।

বিবেকের রক্তপান করে করে আগাছাশুকনো দেহে জাগে বিষ,

গাছরাস্তার ওপর দোতলা বাড়ির জানলায় ষোড়শী ভৈরবী।


যে কোল ধরে থাকে বিবেক-জয়-বিদ্যা,

যে হাত তুলেছে খড়গ

যে ভাবে শত্রু হয়েছে অজাতশত্রুর,

সে চোখে, ভৈরবী চিনেছিলো বিগত নাড়ির টান।  

 

দ্বিতীয় রিপু


বোকা ঋতু জানে বুঝি কার সাথে কার যোগ?

দিয়েছে নিদান এক, হোক তবে তাই হোক।

কুণ্ডে ভরা গুমরাহ, মিশকালো কথারূপ,

চুপিকথা চুপিকান, চার পোয়া এইটুক।

 

ছক বরষাতি   

জানলায় জানলায় বৃষ্টির গান

দেখি জলের ধোঁয়াশা

কবিতা জাগে না, গুনগুনে অজানা সুর


চরম চরম প্ল্যাকার্ডে ঝোলে, কে কখন কাকে...

...আর সব বিচার চাই।


রোম্যান্টিক জল দেখি না বলে

জিন্স বেয়ে উঠে আসে কাদার আগুনছাঁট

মনে পড়ে লোহা কেটে কেটে জুড়ে দেওয়া ওয়েলডিং মেশিন।

 

তার পাশে দাঁড় করিয়ে রেখে খোলা খেলা দেখাই

দেখিয়ে দিই হাতের তাস

বেগম বাদশা খুঁজতে খুঁজতে তোমার গোচর হয় না

বোড়েরা বেরিয়ে যায় এক ঝুলি কিস্তিমাত নিয়ে।

 


কোন মন্তব্য নেই:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন