কবিতার কালিমাটি ১০৮ |
কেউ নেই
শবরীর প্রতীক্ষায়
এখন কেউ থাকে না
রামচন্দ্রের
স্মরণশক্তি ধীরে ধীরে কমে গেছে
বাড়ির ঠিকানা
বহুদিনই মিলে গেছে
নারকেল পাতার
ফাঁকে ফাঁকে দেখা যায়
সূর্যের আলো
চারিদিকে ঝরে পড়ছে
ডুমনা হ্রদের
ধরে কলমীলতায় মৌমাছির
আনাগোনা, এলোকেশী
নারী ত্রস্ত্য পায়ে
পাটের শাক তুলতে
গিয়ে আকাশে চেয়ে থাকে
শবরীর প্রতীক্ষায়
কেউ নেই কেউ থাকে না
একদিন বহুদূর
থেকে উত্তীয়কে ফিরিয়ে আনব।
প্রীতি বজায় রেখো
কথা হারিয়ে
যায়, কলম ওঠে না
ফের শব্দরা
ঘিরে নেয় মন্ত্রমুগ্ধ
তারকার ন্যায়
নিছক ভাবনায়
সবাই প্রজাপতি
চাইতে পারে
অথবা গোটা একটা
পৃথিবী
বা যা দেওয়া
ক্ষমতা বহির্ভূত
দূরেই থেকো,
নিরাপদ দূরত্বে
কাছে এলে অবদমনের
ভাবনা
প্রীতি বজায়
রেখো যতটুকু পারো
যখন কর্মব্যস্ততার
পরেও ভাবনা
এসে আঁকড়ে
ধরবে, অতীত স্মৃতি
মনকে নাড়া
দেবে, জেনো সুহৃদ তুমি।
আলপথে
জ্যোৎস্নার
আলোতে আঁধার ঘনিয়ে আসে
কিছু নরনারী
আগুনের ধরে ছড়িয়ে বসে যে
সামনে ধু ধু
জঙ্গল আর ওদিকে সমুদ্রতট
কেননা যেন অজানা
রহস্য স্মিত হাসছে
দূরে পাহাড়ের
কোলে ঘুমন্ত চাঁদের উঁকি
আকাশের কোলে
পাহাড়, তার উপরে চাঁদ
চাঁদের ছায়া
জলে, তার পাশে আগুন জ্বলছে
আগুনের ধারে
কিছু মানুষ ও তাদের কথাবার্তা
এই সুন্দর সময়টুকু
তাদের মনে গেঁথে থাকবে
ভবিষ্যৎ কালে
এই স্মৃতিগুলি মনে জমা হবে
ভারাক্রান্ত
মনের ভার মুক্ত করে দিয়ে যাবে
স্মৃতি শুধুই
বেদনার নয়, শান্তির পারাবার।
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন