কবিতার কালিমাটি ১০৪ |
সংযোজন
প্রেম ভরে, ভেতরে ভেতরে
প্রেম ছেয়ে যায়
বাড়ে খিদে।
যতো সময়ের দূরত্ব পায়,
বেড়ে যায় আদরখাগী শ্যামলা চারা
নিমবেগুনের মিঠেতেতো খিদের প্রেম
দইয়ের সাথে মধুর সাঁকো।
দারুচিনি লবঙ্গ,
আবার মেঘলা শরীরে তেষ্টা আসে
জামরুল সাদা।
মাছেদের সোনালি আঁশে
গয়না গয়না আহ্লাদ।
অসিমসী
কয়লা খাদান ঋতুর দোকান
সেপাই রাখে চোখ
পোয়াতি হয় যার কাটা কান
পাত পাড়ে শ' লোক।
অন্ধ মানিক বীর্যহীন
পর্ণা হরির লুঠ
কাগজ কালি জয়ের দীপ
টেস্ট টিউব রঙ রুট।
খোলা গলা চৈতি কোকিল
হরেক পাতা সাজে
স্বর খুলেছে গলার তিল
রণ বসন্ত বাজে।
দেদার মাটি দেদার চাপা
উপড়ানো সব কাঁটা
আড়াই আড়াই হাতের মাপা
নামের কয়েক কাঠা।
ওপারে যারা
ঘেমো রাস্তা দিয়ে হেঁকে যায় কাঠফাটা দুপুরের ফেরি
নিশ্চিন্ত কোকিল ডেকেছে তার স্বভাবসিদ্ধ প্রেয়সী,
রক্তিম, যায় বুঝি সেই চাবিওয়ালা
যার সাথে তালে তাল মিশে যায় হাঘরের চাবিখিদে।
তোমাদের পুকুরমাখা প্রেম ঢলোঢলো,
পাত পেড়ে বসে আছে উলঙ্গ অবতার
আসমান ছেঁচে কিছু ডাহুক নেমে আসে
ঘুম বাগানের চারায়।
বিরতির নামে ইতিহাসি প্রশাখা,
কে কার সন্ততি গুলে খায়
বংশলতিকায় গমকে ঠমকে গেয়ে ওঠে
অচেনার চেনারা।
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন