রবিবার, ১৪ মার্চ, ২০২১

প্রণব বসুরায়

 

কবিতার কালিমাটি ১০৪


ততটা

 

রান্না জানে উত্তাপের কথা

মোম বোঝে কোথায় দহন

জল জানে সরে যেতে হয়

ফুল মানে পাপড়ি ঝরার...

 

বসন্ত এসেছে যদিও

ক্ষণপ্রভা আসে নি ততটা--

 

কীভাবে  

 

কীভাবে যে শুরু হয় হতে পারে

তার কোন প্রথাসিদ্ধ ছক জানা নেই

ফলে সবার সামনে থাকে হৈ হৈ মাঠ

সে মাঠ শস্যের, সে মাঠ কৃষক বধূর

সেই মাঠে হতে পারে হঠাৎ লড়াই

কী ভীষণ যে যুদ্ধ হয় অস্ত্র ও শস্ত্রের

রক্ত ঝরে না মৃত হয় স্নায়ুকোষগুলি

নিয়ম অনুসারে কোন যুদ্ধই চিরকালীন

হয় না বলেই অতএব সন্ধি প্রস্তাব

দুপক্ষই চুক্তিপত্রে সই করে করমর্দন

 

এভাবে যে কত যুদ্ধ ও শান্তিপ্রস্তাব রোজ লেখা হয়

কিছু কোষ মারা যায়, কিছু কোষে বংশবৃদ্ধি ঘটে

 

নতজানু

 

আমাদের মধ্যে যে অরণ্য রয়েছে বিস্তৃত

তার গভীর গহীন অঞ্চলে কক্ষণো

পাতা ঝরার শব্দ ওঠে নি,

আয়নার মতো স্থির জলে অরুন্ধতীর ছায়া

অবর্ণনীয় দৃশ্যকল্পে ত্রিমাত্রিক দ্যোতনা এনে দেয়।

 

যা আছে একান্ত আড়ালে, তার কোন পরিচয় নেই

বিধি নেই, নেই সতর্কীকরণ,

এ হেন চিত্রের কাছে প্রত্যাশার পাখি

যেতে ভয় পায়

 

দ্বিতীয় সত্ত্বার কাছে, তাই

নতজানু বসে থাকা

 


কোন মন্তব্য নেই:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন