কবিতার কালিমাটি ১০৯ |
অপার্থিব মিলন
আদিম যুগ থেকে
ফিরে তোমায় ডাক দিয়ে বলেছি,
দেখা হবে ফের
একযুগ পরে।
তখন অশ্বত্থ
গাছের নিচে একরাশ অন্ধকারে
হোগলা পাতার
চাদরে ঢেকে নেব দুটি শরীর,
পাতার গরমে
হবে ফের ফুলশয্যা মিলন।
এতটুকু আব্রু
না রেখে তোমায় দিয়ে দেব,
যতটুকু দেওয়া
যায়, যতটুকু দিতে পারে এ হৃদয়
তোমাতে আমাতে
হবে অপার্থিব মিলন।
সাক্ষী থেকে
যাবে কুয়াশায় ঢাকা চাঁদ
মেঘে ঢাকা তারা
আর পরীদের সামগান।
অধরা হৃদয়
নির্জন বাতায়ন
দিয়ে তোমায় দেখেছি প্রিয়
মাছরাঙা পাখিদের
ভিড়ে নীল নীল পুকুরে।
তুমি পলাশ ফুলের
মত চোখ তুলে আমার
চোখে তাকিয়ে
দেখেছিলে তোমার সর্বনাশ।
হে প্রিয়, তুমি
এমনই উজানে তরী বয়ে যেও
শাপলা, শালুক
আর কলমীলতার ফাঁক দিয়ে,
আমি দুহাত মেলে
তোমার পথ খুলে দিই।
তুমি বাউল সুরে
দিয়ে যেও আমায় আরও
ব্যথিত নক্ষত্রের
যতকিছু দিবারাত্রির কলতান।
তুমি আছো জেনেই
আজ এ হৃদয় অধরা।
জ্যোৎস্নারেখা
ব্যথিত, ক্লান্ত
দুটি চোখের তারায়
যেন বহুকালের
স্মৃতিসকল ম্লান হয়ে আসে।
অন্ধকারে জোনাকির
মত ক্বচিৎ
কিছু প্রেম
জমা হয় বিবর্ণ ছায়ার মত।
বালির উপরে
জ্যোৎস্নারেখা
ঝিকমিক করে
রাতের ঘন আঁধারে।
পাইনের মাথায়
ফসফরাস জ্বলে ওঠা জোনাকি,
আরো দূরে অন্ধকার
মায়ায় মিলিয়ে যাওয়া রহস্য চাঁদ,
তেমনি কোনো
পাথরের ফাঁকে জলের আনাগোনা
ঘুমিয়ে পড়া
নাওয়ের মত এক স্নিগ্ধ বাতাবরণ।
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন