সোমবার, ১৫ ফেব্রুয়ারী, ২০২১

ঋভু চট্টোপাধ্যায়

 

কবিতার কালিমাটি ১০৯


এক একটা ছায়া ও বন্দোবস্ত            

 

(১)

 

শরীরের স্নেহ পদার্থ তুলে রাখার গাণিতিক

উপকারিতার মধ্যেই একটা অনাবশ্যক ভাগচাষ।

তারপরেই একের পিঠে নামতা, মানে সেই

দরকষাকষি ও পাশ ফেরা। এখন যতটা ঢেঁকি ততটাই

উপপাদ্যের অবস্থান, যতটা ফাঁকতাল ততটাই

গুছিয়ে আখ থেকে আখর কথা। বলা যায় এর মাঝে

কোন উপযোগিতা বাদ থাকলেও সব সেই ঘর পথ

মুখোমুখি ইচ্ছের অধীন। তার মানে আমাদের শরীর থেকে

যতটা ঘাম বের হয় ততটাই বখরা এঁটে ওঠে

লোমকূপের ঘরবাড়ি। দেখা যাক আর ঠিক

কতটা পরিবর্তন হতে পারে?

 

(২)

 

এক একটা ক্রীতদাস আর টস, এখানে ব্যাটবল

ওখানে ক্যাচ ধরবার আশায় আকাশের দিকে

পুরুষাঙ্গ উজিয়ে একের পর এক, বোঝা যায় না

মানুষ আর স্ট্যাচুর মধ্যে ঠিক কোন বিতর্ক উপস্থিত?

কোন সময়কাল অখণ্ডতার অভ্যাসে খাবি খায়।

এই যে অশরীর স্রোত এই বাতাসের পিছনে কর,

লোকজন দেখছে অথবা কথা বলা আর না বলার মাঝে

এখনও একটা আস্ত নাগরদোলা।

 

(৩)

 

এভাবেই ভাঙতে ভাঙতে আমার ঘরবাড়ি।

সারি সারি বেঞ্চের মাঝখানে বসে থাকা

এক একটা জোড় অথবা বিজোড়ের ঢেঁকিচর্চা।

শুধুমাত্র সালোক সংশ্লেষের জন্যেই তো আর

গাছজন্ম ঘটে না। তাও পাতার আলপনা

আর অভিমুখের উদ্দেশ্য ও বিধেয় বিহীন যানবাহন।

জানা যাচ্ছে চুপ করে বসে দেখার মধ্যেও

যে মধু তাতে মধুমেহ ছাড়া নতুন কোন শত্রু নেই।

 

(৪)

 

বৈঠকও চুপ করে বসে থাকবার মধ্যে এই যে

অজাতশত্রু বন্দোবস্ত তার পাশ দিয়েই উত্তর ও

দক্ষিণ যাওয়া যায়।প্রলাপ আর উল্কার ভেতর

একটা নিজস্ব সমীকরণ না থাকলেও বলা ভালো

এই যে হাঁটা চলা, এই কথা বা গান, বিশ্বাস

ও ভাতা সব সেই ঢেঁকি। এরপর অথবা বিশ্বাস এবং

অন্য স্বভাব, যাত্রাপথ তো এই শুরু হল।

 

 


কোন মন্তব্য নেই:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন