কবিতার কালিমাটি ১০৯ |
কার্বন বিয়োগের কবিতা
(১)
জল তুলতে গিয়ে
নৌকোডুবি হয়েছিল যে কালে
মৃত্যু এসে
শুয়ে পড়েছিল নক্ষত্র বীথি তলে।
এরকম এক একটি আলোর শেষ
ছায়ায় মুক্তি হওয়া
কুয়াশার পাথর টপকে যাওয়া -
এক একটি নিভৃতলোক।
আলপিন দূরত্বে জোড়া লাগে পৃথিবীর
কোষ;
চা পড়ল, আলো
জ্বলল , মৃদু হাসল
রাতের জানলার টুকরো আলো জুড়ে
জেগে থাকল অনন্ত
লোক।
(২)
স্পর্শ হেতুর
কোনও নাম নেই - স্ট্রিকনিন
আত্মার ভিতরে রয়েছে যে চামড়ার শোক
সমাবেশে আজ
আলো জল, মনোলীন।
নামহীন সেতুর
মাঝে
সাইকেল চলে যাওয়া
একটু অহেতুকী
হাওয়া-
সূর্য, চন্দ্র,
আকাশ, আপুলিশের দিন।
তারা হাসে,
রেডিয়ও বাজে, রুবাইয়ের তলে
সন্ধ্যে নামার পরে, খেতে আসার ডাক
নিয়ে আঁধার
জুড়ছে খরাজ মাঠ,
জেগে থাকছে আদিলোক।
(৩)
শূন্য নেই তাই
নিখুঁত অন্ধকার
ছাড়িয়ে যাচ্ছে
আসবাব হীন সংসারে
উত্তর উত্তর
সিনথেটিক ভোরে।
গাছের পাতায়
রৌদ্র কোয়ার্ক,
বিন্দু বিন্দু জলোচ্ছ্বাস
ল্যাভেন্ডার
স্বপ্ন আনে
নিখিল আভাস।
তবু এগিয়ে যায়,
নিক্তি ডোর, অথ চরাচর-
এখানে, ঠিক
এখানে,
যেখানে তোমার
আমার নিভৃত কালে
সমস্ত মানে
শুরু থেকে শুন্যতা জানে।
(৪)
পৃথিবীর বয়স
হলে
তার নীচে জামদানি
আলোর সন্তাপে
থেকে যায় দু
একটি শস্যদিন।
অবিরাম সহ্য
কথা
বাতাসের ছায়া হওয়া
অন্ধ নদীর জলে
নিখাদ দূরত্ব চাওয়া।
বেড়ে চলে স্ত্রবেরী স্বপ্ন, বিভ্রম হাওয়া, পুবালীর
দিন।
চোখের পাতায়
শৈশব আসে, স্বপ্ন ধরে, আলেখ্যে হাসে-
ভ্রম কল্পে
জ্যোৎস্না ঢোকে,
প্রাণে যুদ্ধসংকেতে,
জেগে থাকে ডালিম
গাছে সূর্যের ঋণ।
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন